বসুন্ধরা রাজে।— ফাইল চিত্র।
বসুন্ধরা রাজের চেহারা নিয়ে কটূক্তি করে বেজায় বিপাকে শরদ যাদব। রাজস্থানের অলওয়ারে প্রচারের সময়ে বসুন্ধরা সম্পর্কে শরদ বলেন, ‘‘ওর এ বার বিশ্রাম নেওয়া দরকার। ও খুব ক্লান্ত। বড্ড মোটাও হয়ে গিয়েছে। আগে ও রোগাপাতলা ছিল।’’ এই বক্তৃতার ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের মুখে পড়েন সংযুক্ত জনতা দলের বহিষ্কৃত নেতা। আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে শরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও শরদের বক্তব্য, বসুন্ধরার সঙ্গে তাঁর বহুদিনের সম্পর্ক। তাই তিনি ‘ঠাট্টা’ করেছেন।
তবে তা মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, এ ভাবে শুধু তাঁকে নয়, সব মহিলাকে অপমান করেছেন শরদ। বসুন্ধরার কথায়, ‘‘এক জন অভিজ্ঞ নেতা হয়ে উনি কী ভাবে এই মন্তব্য করলেন? উনি আমাদের পরিবারেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ রকমের কাজ না করেন, তার জন্য নির্বাচন কমিশন ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। প্রত্যেকের উচিৎ ভাষা সংযত রাখা।’’
এ দিকে বিপাকে পড়ে তাঁর মন্তব্যটি নিছক ‘মজা’ বলে চালাতে চাইছেন বিহারের প্রবীণ নেতা। আজ তিনি বলেছেন, ‘‘বসুন্ধরাকে অপমান করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। ঠাট্টা করছিলাম মাত্র। আমার সঙ্গে ওনার পুরনো সম্পর্ক।
দেখা হওয়ার পরে সামনাসামনিও ওকে মোটা হয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলাম।’’ এই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৫ সালে বিধানসভায় দক্ষিণ ভারতীয় ও উত্তর ভারতীয় মেয়েদের চেহারা ও রঙের তুলনা করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন ৭৩ বছরের নেতা।