হায়দরাবাদের সেই নিগৃহীতা।
গিজার চালানোর জন্য স্বামীর হাতে প্রচণ্ড নিগৃহীত হলেন এক গৃহবধূ। শ্বশুর, শাশুড়ি আর দুই শিশু সন্তানের সামনে নিগৃহীত হওয়ার পর ফোনে বাবা, মাকে সেই অপমানের কথা জানালেন তিনি। কিন্তু মা, বাবা দেড় ঘণ্টা দূরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন সেই গৃহবধূ। হায়দরাবাদের ঘটনা। ওই গৃহবধূর স্বামী সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মোহন রাও ও শ্বশুর-শাশুড়িকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, ৩১ বছর বয়সের ওই গৃহবধূর নাম শুশ্রুত। তাঁর ৪ এবং ৬ বছর বয়সের দু’টি ছেলে রয়েছে। গত রবিবার বাথরুমে গিজার চালিয়ে স্নান করতে গিয়েছিলেন শুশ্রুত। সেই সময় রাগে চিৎকার করতে করতে তাঁর স্বামী বাথরুমে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করে নিয়ে এসে প্রচণ্ড মারধর করতে থাকেন শুশ্রুতকে। শুশ্রুতের শ্বশুর-শাশুড়ি আর তাঁর দুই শিশুপুত্রের সামনেই। মারধর করার সময় শুশ্রুতের স্বামী চেঁচিয়ে বলতে থাকেন, ‘‘কে গিজার চালাতে বলেছে এখন? গিজার চালালে অনেক মিটার ওঠে। কে অত বিল মেটাবে?’’
ওই ঘটনার পরেই অপমানিত শুশ্রুত কাঁদতে কাঁদতে টেলিফোন করেন তাঁর পিত্রালয়ে। তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচারের কথা জানান তাঁর বাবা সত্যনারায়ণকে। সব শুনে শুশ্রুতের বাবা তাঁকে বলেন, ‘‘আসছি। একটু অপেক্ষা কর।’’ দেড় ঘণ্টা দূরে নলগোন্ডা থেকে হায়দরাবাদ পৌঁছে শুশ্রুতের বাবা, মা জানতে পারেন, তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। শুশ্রুতের বড় ছেলে পুলিশকে বলেছে, ‘‘বাবা খুব মেরেছিল মাকে।’’
আরও পড়ুন- ইদেও অশান্ত কাশ্মীর, বাহিনীর গুলিতে মৃত ১, ফের প্ররোচনা শরিফের