Politics News

কারাটদের গোঁ ভাঙতে হাতিয়ার সফি-সুভাষ

সুভাষ-জায়া রমলা চক্রবর্তীর সংস্থার উদ্যোগে কাল, বৃহস্পতিবার দমদমের রবীন্দ্র ভবনে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম নিয়েই এ বারের মূল বক্তা লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ২২:১১
Share:

জীবদ্দশায় এক জনকে দলের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিতে হয়েছিল। অন্য জন দলে থেকেও ছিলেন ব্রাত্য। পরিস্থিতির ফেরে এখন তাঁদের পরম্পরাকে কাজে লাগিয়েই প্রকাশ কারাটের লাইনের বিরুদ্ধে বার্তা দিতে সক্রিয় বঙ্গের বামেরা!

Advertisement

বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্বের রাজনৈতিক লাইনেই অনড় থাকতে চান কারাটপন্থীরা। কংগ্রেসের সমর্থন না নেওয়ার যুক্তিতেই দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে রাজ্যসভায় পাঠানোর বিপক্ষে রায় দিয়েছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা যে অনেক বড় বিপদ এবং তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এত বাছবিচার চলে না, এই পাল্টা যুক্তিতে অনড় এ রাজ্যের বাম নেতৃত্ব। তাই প্রয়াত দুই নেতা সৈফুদ্দিন চৌধুরী ও সুভাষ চক্রবর্তীর স্মরণকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী লড়াইয়ের ময়দান আরও চওড়া করার বার্তা দিতে চাইছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন:বিকাশ বাতিলই, স্বস্তিতে কংগ্রেস

Advertisement

সুভাষ-জায়া রমলা চক্রবর্তীর সংস্থার উদ্যোগে কাল, বৃহস্পতিবার দমদমের রবীন্দ্র ভবনে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম নিয়েই এ বারের মূল বক্তা লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। উদ্বোধক সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দেব। যিনি সম্প্রতি কারাটদের ফরমানের প্রতিবাদে ‘অন্য রকম ভাবনা’র কথা বলে সিপিএমে ভাঙনের গুঞ্জন ছড়িয়েছেন! বস্তুত, সোমনাথবাবু-গৌতমবাবুদের কেন্দ্র করেই সর্বভারতীয় সিপিএমের লাইনের বিরুদ্ধে বিকল্প গড়ার চর্চা এখন গতি পেয়েছে।

আরও পড়ুন:কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ মমতা-অধীর-সুজনের

সফির জন্মদিনে মঙ্গলবারও বাম নেতারা ডাক দিয়েছেন সাম্প্রদায়িকতার লড়াইকে বড় করার পক্ষেই। প্রয়াত সাংসদের বক্তব্য ছিল: বামেরা বামেদের মধ্যে, জনতা দল জনতা পরিবারের মধ্যে বা কংগ্রেস কংগ্রেসের মধ্যে লড়াই করবে, এই ভাবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই বাঁচবে না। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বরং বৃহত্তর লড়াই গড়ে তুলতে হবে। সফির এই কথাকে সামনে রেখেই মৌলালি যুবকেন্দ্রে আলোচনার আয়োজন করেছিলেন সমীর পূততুণ্ডেরা। আগে ওই আহ্বানকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি সিপিএম। কিন্তু এখন দলের এক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলছেন, ‘‘দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িকতা ও ফ্যাসিবাদের আক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে, সেখানে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা আত্মহত্যার সামিল!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement