—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকার এলপিজিতে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হল রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম — তিন দলই প্রবল আক্রমণ করল কেন্দ্রীয় সরকারকে তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করলেন টুইটারে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বা বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়াও চড়া। তবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সমর্থনই করলেন কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে।
দেখে নিন, কী বলছে বিভিন্ন দল:
‘‘সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমি উদ্বিগ্ন। আগেও গ্যাসের ভর্তুকি তোলা হয়েছে। আবারও একই কাজ করা হল। বিজেপি শুধু টাকার কথা ভাবে। সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না।’’ —মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চেয়ারপার্সন, তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি উঠে যাচ্ছে মার্চের মধ্যে!
‘‘আমজনতার উপরে অর্থনৈতিক আক্রমণ করা হল। অচ্ছে দিনের আসল রূপটা সামনে আসছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ছে না। তবু এলপিজি-র ভর্তুকি তুলে নেওয়া হল।’’ —অধীররঞ্জন চৌধুরী, সভাপতি, প্রদেশ কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিগ্রস্ত আমলাদের তালিকা হচ্ছে, কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র
‘‘অচ্ছে দিন মানেটা কী, এ বার সকলের কাছে স্পষ্ট হচ্ছে। আদানি-অম্বানীদের পৌষ মাস আর সাধারণ মধ্যবিত্তের সর্বনাশ— মোদীর অচ্ছে দিন এটাই। এলপিজি-তে এই ভাবে ভর্তুকি তুলে নিয়ে সাধারণ মধ্যবিত্তের উপর চরম আঘাত হানল কেন্দ্রীয় সরকার। আঘাত আরও অনেক রকম ভাবে আসছে। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত মানুষকে আরও কোণঠাসা করে দেওয়া হচ্ছে। নতুন নিয়ম করেছে, ব্যাঙ্কে যাঁর টাকা বেশি, তাঁর অ্যাকাউন্টে সুদের হার বেশি। যাঁর টাকা কম, তাঁর জন্য সুদ কম। অর্থনীতিতে এমন অদ্ভুত কাণ্ড কেউ দেখেছেন! লক্ষ্যটা খুব স্পষ্ট। গরিব আরও গরিব হবেন, ধনী আরও ধনী। আগেই আমাদের দেশের ৪৯ শতাংশ সম্পদ মাত্র ১ শতাংশ নাগরিকের দখলে ছিল। মোদীর শাসন শুরু হওয়ার পর ইতিমধ্যেই ওই ১ শতাংশ মানুষ দেশের ৫৮ শতাংশ সম্পদের দখল নিয়ে ফেলেছেন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’’ —সুজন চক্রবর্তী, পরিষদীয় দলনেতা, বামফ্রন্ট।
আরও পড়ুন: এসবিআইয়ের সেভিংস অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা না থাকলে সুদ কমবে আপনার
‘‘ভর্তুকি তো তুলতেই হবে। আদি-অনন্তকাল ধরে তো আর ভর্তুকি চলতে পারে না। এক সময় গিয়ে সেটা তুলে নিতেই হবে। ধাপে ধাপে সেটাই হচ্ছে। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর মূল্যবৃদ্ধির হার অনেক কমেছে, পেট্রল-ডিজেলের দাম কমেছে। মানুষের আয়ও বেড়েছে। ফলে ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে। এ বার ধীরে ধীরে ভর্তুকি তুলে নেওয়া হবে, সেটাই স্বাভাবিক। বিরোধীদের সমালোচনা থাকবেই। সমালোচনা ছাড়া আর কিছু করার ক্ষমতাই নেই ওঁদের।’’ —দিলীপ ঘোষ, সভাপতি, রাজ্য বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy