Suchana Seth

অনুশোচনার ছাপ নেই সূচনার মুখে! ছেলেকে ‘খুনের’ পরেও শান্ত ছিলেন বেঙ্গালুরুর সিইও

পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, কেন তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সে বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি সূচনা। ছেলে কী ভাবে মারা গিয়েছে, সে বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণা নেই বলেও নাকি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৯
Share:

বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ সংস্থার অভিযুক্ত সিইও সূচনা শেঠ। —ফাইল চিত্র ।

অভিযোগ উঠেছে চার বছরের শিশুপুত্রকে খুন করার। পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন। তবু বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ সংস্থার সিইও সূচনা শেঠের চোখেমুখে ছেলের মৃত্যুর বা গ্রেফতারির কোনও অনুশোচনা নেই। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় শান্ত ভাবেই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সূচনা। হেফাজতেও তাঁকে কোনও কিছু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে বা বিচলিত হতে দেখা যায়নি। গত ৮ জানুয়ারি সূচনা যে ভাড়া গাড়ি চেপে গোয়া থেকে বেঙ্গালুরুর পথে রওনা দিয়েছিলেন, সেই গাড়়ির চালকও জানিয়েছেন, গাড়িতে চড়ার পর থেকে চুপচাপই ছিলেন তিনি। এমনকি, পুলিশ যখন তাঁকে গ্রেফতার করে, তখনও তিনি শান্তই ছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই ভাড়া গাড়ির চালক রে জন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, কেন তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সে বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি সূচনা। ছেলে কী ভাবে মারা গিয়েছে, সে বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণা নেই বলেও নাকি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন তিনি।

বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ সংস্থার সিইও-র সন্তানের হত্যার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এ-ও জানতে পেরেছে যে, শিশুপুত্রকে খুনের অভিযোগ ওঠার দিন কয়েক আগেই প্রাক্তন স্বামীকে ছেলের সঙ্গে দেখা করে নেওয়ার কথা বলেছিলেন সূচনা। তদন্ত চলাকালীন পুলিশ জানতে পেরেছে যে, গত ৬ জানুয়ারি প্রাক্তন স্বামী বেঙ্কট রামনকে মেসেজ করেছিলেন সূচনা। বেঙ্কট চাইলে পরের দিন ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সূচনা ছেলেকে নিয়ে গোয়া চলে যাওয়ায় দেখা করতে পারেননি বেঙ্কট। এর পর ওই দিনই বেঙ্কট ইন্দোনেশিয়া চলে যান বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। পুলিশের অনুমান, ছেলের সঙ্গে শেষ বার দেখা করার জন্যই প্রাক্তন স্বামীকে ডেকে পাঠান সূচনা। কিন্তু পরে মত বদলে দেন।

Advertisement

২০১৯ সালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সূচনা। ২০২০ সালে স্বামী বেঙ্কট রমনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয় তাঁর। সেই সম্পর্কের ফাটল দিনে দিনে আরও বেড়েছিল। তার শেষ পরিণতি হয় বিবাহবিচ্ছেদ। সূচনা এবং বেঙ্কট বিবাহবিচ্ছেদের পথ বেছে নেন। কিন্তু পুত্র কার কাছে থাকবে, তা নিয়েও একটা প্রশ্ন তৈরি হয়। কিন্তু আদালত সন্তানকে মায়ের হেফাজতে রাখারই অনুমতি দিয়েছিল। তবে প্রতি সপ্তাহে রবিবার বাবাকে পুত্রের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, পুত্রকে নিজের কাছে রাখলেও একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকতেন সূচনা। এই বুঝি পুত্রকে নিজের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করবেন বেঙ্কট! সেই আতঙ্ক ক্রমশ গ্রাস করেছিল সূচনাকে। পুত্রকে যদি নিজের কাছে না রাখতে পারেন, তা হলে কারও হতে দেবেন না, প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, এই ধারণাই কাজ করেছিল সূচনার মধ্যে। আর সেই চিন্তাভাবনা থেকেই কি বেঙ্কটকে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে বলেও মত বদলান সূচনা? এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন