Bakery

‘করাচি’ নামে আপত্তি জনতার! ঢেকে ফেলা হল বেকারির সাইন বোর্ড

শেষমেশ তাঁদের দাবি মেনে সাইনবোর্ডের থাকা করাচি অংশটি ঢেকে ফেলে বেকারি কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে আউটলেটের মধ্যে ঝোলানো হল ভারতীয় পকাতাও!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:০৩
Share:

বেঙ্গালুরুতে করাচি বেকারিতে এ ভাবেই ঢেকে ফেলা হল করাচি শব্দটি। ছবি নন্দিনীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।

পুলওয়ামা কাণ্ডের পর থেকেই পাকিস্তান বিধোরী হাওয়া জোরালো হয়েছে সারা দেশজুড়ে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনও বিষয় নিয়ে প্রবল আপত্তি অনেকের। শুক্রবার সেই ঘটনারই প্রতিফলন ঘটল বেঙ্গালুরুতে। ‘দেশপ্রেমী’ জনতা একটি জনপ্রিয় বেকারির সাইনবোর্ডের একটি অংশ ঢেকে ফেলতে বাধ্য করল।

Advertisement

বেঙ্গালুরুর ইন্দিরানগর এলাকার ১০০ ফুট স্ট্রিটে রয়েছে ‘করাচি বেকারি’ নামের একটি জনপ্রিয় বেকারির আউটলেট। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টা নাগাদ ২০ থেকে ২৫ জনের এক দল লোক এসে জড়ো হয় করাচি বেকারির আউটলেটের সামনে। চিৎকার করে তারা ওই আউটলেটের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন।

পরিস্থিতি সামলাতে আউটলেটের কর্মীরা বাইরে এসে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের একটাই দাবি, বেকারির সামনে থেকে সরাতে হবে করাচি শব্দটি। শেষমেশ তাঁদের দাবি মেনে সাইনবোর্ডের থাকা করাচি অংশটি ঢেকে ফেলে বেকারি কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে আউটলেটের মধ্যে ঝোলানো হল ভারতীয় পকাতাও!

Advertisement

নন্দিনী রাও নামের একজন এই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন ওই বেকারিতে। তিনি এই ঘটনার ভিডিয়ো ও ছবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন ও ঘটনার বিররণও দিয়েছেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষীতে ওই আউটলেটের ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘তারা ভেবেছিল আমরা হয়ত পাকিস্তান থেকে এসেছি। কিন্তু গত ৫৩ বছর ধরে আমরা এই নাম ব্যবহার করে আসছি। আমাদের মালিকও হিন্দু। তাদের সন্তুষ্ট করতে আমরা ভারতের পতাকাও টাঙিয়েছি।’’

খানচাঁদ রামনানি হায়দরাবাদে প্রথম করাচি বেকারি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের সময় পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন। বর্তমানে হায়দরাবাদ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বিখ্যাত এই বেকারির আউটলেট।

আরও পড়ুন: নজরদারি, ভুয়ো খবর আর গুজব ছড়ানোয় শীর্ষে ভারত, বলছে মাইক্রোসফটের রিপোর্ট

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন