প্রতীকী ছবি।
কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে বেঙ্গালুরুর জেপি নগরের টিপু সার্কেলের কাছে আভালাহাল্লি এলাকা দিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন ইঞ্জিনিয়র নন্দিনী। তখনই তাঁদের নজরে আসে, কয়েক জন একটি নির্জন এলাকায় একের পর এক গরু জবাই করছে। এর পরই স্থানীয় থালাঘাট্টাপুরা থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। আর সেই অপরাধে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন ওই মহিলা ইঞ্জিনিয়র ও তাঁর বন্ধুরা। এ বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
নন্দিনীদের মূল অভিযোগ কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে। নন্দিনীর কথায়, ‘‘বেআইনি ভাবে গরু জবাই হচ্ছে দেখে আমরা রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ থালাঘাট্টাপুরা থানায় অভিযোগ জানাই। তখন থানায় ১৫-২০ জন পুলিশ ছিলেন। তারা যখন অপরাধীদের সন্ধানে যাচ্ছিলেন, তখন আমাদেরও সঙ্গে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। যাতে সেই জায়গাটা আমরা চিনিয়ে দিতে পারি।’’ সেই মতো নন্দিনীর গাড়িতে দু’জন কনস্টেবলও ওঠেন। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ফের ওই এলাকায় পৌঁছন তাঁরা। নন্দিনীর দাবি, তখনও তাঁরা দেখেন সেখানে গরু জবাই চলছে।
আরও পড়ুন: উপহার-ডালি নিয়ে কাঠমান্ডু যাচ্ছেন মোদী
নন্দিনী বলেন, ‘‘সঙ্গে পুলিশ আছে ভেবে গাড়ি নিয়ে সরাসরি ওই এলাকার ভিতর ঢুকে গিয়েছিলাম। কিন্তু, ভুল ভাঙে একটু পরেই। দেখতে পাই কোথাও কোনও পুলিশ নেই। মুহূর্তের মধ্যে শ’খানেক জনতা ঘিরে ধরে আমাদের গাড়ি। গাড়ির উপর শুরু হয় ইটবৃষ্টি।’’ নন্দিনীর অভিযোগ, কোনও সাহায্য না করে মুহূর্তের মধ্যে তাঁর গাড়িতে থাকা ২ জন কনস্টেবল নেমে যান। হামলাকারীদের মারে হাতে, কাঁধে গুরুতর আঘাত পান নন্দিনী।
কোনওক্রমে হামলাকারীদের হাত থেকে পালিয়ে ফের থানায় পৌঁছন তাঁরা। নন্দিনীর অভিযোগ, থানায় এলে তাঁদের উপরেই চেঁচামেচি করেন সাব-ইন্সপেক্টর। এমনকী, অভিযোগের প্রমাণ হিসাবে প্রথমে তাঁদের রক্তাক্ত চেহারার ছবি তুলতেও অস্বীকার করেন ওই সাব-ইন্সপেক্টর। এ নিয়ে তিনি আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশে।
আরও পড়ুন: সাড়ম্বরে বিধবার বিয়ে দিচ্ছে বৃন্দাবন
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সম্পাদক বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কংগ্রেস আমলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।