বিহারে ভোটের ফলাফলের পরে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর। পটনায়। —নিজস্ব চিত্র।
শোচনীয় পরাজয়ের পরে আরজেডি-র পাশাপাশি বিদ্রোহের আঁচ বিহারের কংগ্রেসেও। দল-বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে রাজ্যের ৪৩ জন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরাল বিহার প্রদেশ কংগ্রেস। নির্বাচনের সময়ে দলের জন্য মানানসই ভূমিকা না-নেওয়া এবং সংবাদমাধ্যমে যেমন খুশি বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে এঁদের নামে। অন্য দিকে, নির্বাচনে বিপর্যয়ের সম্পূর্ণ দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন জন সুরাজ পার্টির নেতা প্রশান্ত কিশোর ( পি কে)।
প্রচারে বিপুল সাড়া জাগিয়েও বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি জন সুরাজ। তবে পি কে জানাচ্ছেন, তিনি রাজনীতির ময়দান ছেড়ে যাচ্ছেন না। পটনায় মঙ্গলবার পি কে বলেছেন, ‘‘ব্যবস্থায় বদল আনার লক্ষ্যে আমরা লড়েছিলাম। তাতে ফল হয়নি। সরকারও বদল হয়নি। আমাদের ভাবনা-চিন্তায় নিশ্চয়ই কিছু গলদ ছিল। ভুল যা হয়েছে, তার ১০০% দায় আমি নিচ্ছি।’’ ভুলের ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করতে চম্পারনের ভিতিহরওয়া গান্ধী আশ্রমে বৃহস্পতিবার এক দিনের উপবাস কর্মসূচি নিয়েছেন পি কে। সে দিনই পটনায় ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা নীতীশ কুমারের।
এর মধ্যে বিহার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে বিক্ষুব্ধ নেতারা শো-কজ়ের জবাব না-দিলে তাঁদের বহিষ্কার করা হতে পারে। যাঁদের নোটিস দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কয়েক জন প্রাক্তন বিধায়ক ও দলের মুখপাত্রও আছেন। বিধানসভা ভোটে বিশ্রী ফলাফলের পরে এঁদের অনেকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ রামের ইস্তফার দাবি তুলেছিলেন। দলের তরফে কারণ দর্শানোর নোটিস পাওয়ার পরে বিক্ষুব্ধ নেতারা আগামী ২২ তারিখ পটনায় প্রদেশ কংগ্রেস দফতর সদাকত আশ্রমে ধর্নায় বসার ডাক দিয়েছেন! কংগ্রেস সূত্রের খবর, ভোটের ফল ঘোষণার পরে প্রদেশ সভাপতির নির্দেশে গঠিত তিন সদস্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করেছে। বিহারে এ বার ৬১ আসনে লড়ে ৬টিতে জিতেছে কংগ্রেস। কুটুম্বা আসনে প্রদেশ সভাপতি রাজেশ নিজেই হেরে গিয়েছেন।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে