(বাঁ দিকে) পটনার হাসপাতালে দুষ্কৃতীরা, বক্সারের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া আধুনিক যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
পটনা হাসপাতালে গুলিকাণ্ডে নয়া তথ্য প্রকাশ্যে এল। চন্দন মিশ্রের খুনের বদলা নিতে আস্ত একটি অস্ত্র কারখানা বানানো হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, মুঙ্গের থেকে দক্ষ কারিগর এনে বন্দুক বানানোর কাজ চলছিল বক্সারের একটি বাড়িতে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই স্তম্ভিত হয়ে যায় পুলিশ। বন্দুক বানানোর জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি, লেদ মেশিন-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বক্সারের পুলিশ সুপার শুভম আর্য জানিয়েছেন, শনিবার তাঁরা গোয়েন্দা সূত্রে খবর পান যে ডালসাগর গ্রামে দীনেশ যাদব নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বন্দুক তৈরির কাজ চলছে। সেই খবর পেয়েই ওই গ্রামে তল্লাশি অভিযানে যায় পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেশি বন্দুক ছাড়াও হ্যান্ড গ্রেনেড, কার্তুজ, দু’টি ম্যাগাজ়িন, চারটি মোটরসাইকেল, ছ’টি মোবাইল ফোন এবং বেশ কিছু সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, মুঙ্গের থেকে দক্ষ কারিগর নিয়ে এসেছিলেন দীনেশ। রাজেশ কুমার এবং সুনীল পোদ্দারকে মুঙ্গেরের কাশিমবাজার থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। রাজেশ, সুনীল ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ যাদব, অনুপ পাসোয়ান, দুর্গেশ উপাধ্যায় এবং দয়ানন্দ যাদবকে। তাঁরা বক্সারের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। সেখান থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁদের। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ধৃত ছ’জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন এবং অস্ত্র আইনে বেশ কয়েকটি মামলা ঝুলছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিহত চন্দন মিশ্রের গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য ধৃত দুর্গেশ। তাঁকে জেরা করে ধীরজ মিশ্র নামে আরও এক দুষ্কৃতীর হদিস পেয়েছে পুলিশ। তিনিও পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানতে পারা গিয়েছে যে, এই দলটি চন্দন মিশ্রের খুনের বদলা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার জন্য দীনেশ যাদবের বাড়ির একটা অংশে অস্ত্র কারখানা বানানো হয়েছিল। দীনেশের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই পটনার হাসপাতালের আইসিইউয়ে ঢুকে দুষ্কৃতী চন্দন মিশ্রকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে শেরু গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে ঢুকে চন্দনকে খুন করেন তৌসিফ রাজা-সহ পাঁচ জন। খুন করার পরই তাঁরা কলকাতায় পালিয়ে আসেন। গত মাসেই মূল অভিযুক্ত তৌসিফ-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।