আদিত্য হত্যায় মূল অভিযুক্ত ও বিধায়ক মনোরমা দেবীর ছেলে রকি যাদব।
বিহারের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে হত্যাকাণ্ডের জেরে বিধায়ক মনোরমা দেবীকে সাসপেন্ড করল জেডিইউ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিধান পরিষদের সদস্য মনোরমা দেবীকে সরানোর কথা ঘোষণা করে দল। আদিত্য হত্যায় প্রথম থেকেই নিজের ছেলেকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ছিল বিরোধীদের।
এ দিন সকালেই ওই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তথা মনোরমা দেবীর ছেলে রাকেশ রঞ্জন যাদব ওরফে রকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে রকিকে বুদ্ধগয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্রেয়াস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। পাশাপাশি, ঘটনার দিন যে এসইউভি চালাচ্ছিল রকি, তা-ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত শনিবার রকির গাড়িকে ওভারটেক করে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া আদিত্য সচদেবের গাড়ি। নিহত আদিত্যর পরিবারের অভিযোগ, সেই রাগের বশেই তাঁকে গুলি করে বছর তিরিশের রকি। ঘটনার পর বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়ে লালু-নীতিশের দল। ইতিমধ্যেই মনোরমা দেবীর দেহরক্ষী রাকেশ কুমার ও রকির বাবা তথা জেডিইউ নেতা বিন্ধেশ্বরী প্রসাদ ওরফে বিন্দি যাদবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিন্দি যাদবের বিরুদ্ধে ছেলেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার ছাড়াও মাওবাদীদের অস্ত্র জোগান দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে আদিত্যকে গুলি চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার সময়ে রকির গাড়িতে ছিল ওই দেহরক্ষী।
এ দিন সকালে পুলিশের দাবি, জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে রকি। সূত্রের খবর, গয়ার বাড়িতে মনোরমা দেবীকে ঘণ্টা কয়েকের জিজ্ঞাসাবাদের পরই রকির খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়েছে। গয়া থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বুদ্ধগয়ায় একটি কারখানায় লুকিয়ে ছিল সে।
আরও পড়ুন