ফের জমি দুর্নীতিতে রবার্ট বঢরার নাম। হরিয়ানার পর এ বার রাজস্থান।
বিকানেরের জমি কেলেঙ্কারির তদন্তে আজ রবার্ট বঢরার দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বাড়ি-অফিসে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির এফআইআর-এ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর জামাইয়ের নাম নেই ঠিকই। কিন্তু ‘স্কাইলাইট হসপিটালিটি’ সংস্থাটিকে এই তদন্তে আগেই নোটিস জারি করেছে ইডি। সূত্রের দাবি, এই সংস্থার সঙ্গে রবার্ট বঢরা জড়িত।
ইডি সূত্রের বক্তব্য, রাজস্থানের মহাজানে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জের চৌহদ্দি বাড়াতে ৩৪টি গ্রাম খালি করা হয়। গ্রামবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য বিকানেরের কোলায়াত এলাকায় প্রায় ৩৭৫ হেক্টর জমি বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু কাগজপত্র জাল করে ‘জমি মাফিয়া’-রা সেই জমি দখল করে নেয় বলে স্থানীয় মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে ইডি।
আজ রবার্ট-ঘনিষ্ঠ মহেশ নাগার ও অশোক কুমারের বিভিন্ন সম্পত্তিতে তল্লাশি চালায় ইডি। ফরিদাবাদের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলে। এই মহেশ নাগারের কাছে বর্তমানে ‘স্কাইলাইট হসপিটালিটি’ সংস্থার ‘পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি’ রয়েছে। মহেশের দাদা ললিত আবার কংগ্রেসের নেতা। হরিয়ানার তিগাঁও থেকে কংগ্রেসের টিকিটে তিনি বিধায়কও হয়েছেন। মহেশই রবার্টের হয়ে বেনামে জমি কেনাবেচা করতেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ। তারা বলছেন, সেই যোগাযোগের সুবাদেই তাঁর দাদাও কংগ্রেসের টিকিট পেয়েছিলেন। ইডি-র বক্তব্য, স্থানীয় সরকারি কর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করেই তাঁরা বেআইনি কাগজপত্র তৈরি করে জমি হাতানোর চেষ্টা করেছিলেন। গত সপ্তাহে ইডি অভিযুক্ত সরকারি কর্তাদের ১.১৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। রবার্ট আগেই দাবি করেছিলেন, এই মামলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। কংগ্রেসও একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্ত বলে দাবি করেছে। কিন্তু হরিয়ানার আইএএস অফিসার অশোক খেমকার মতে, এই তদন্তও লোক দেখানো। খেমকা এর আগে হরিয়ানার রবার্টের সংস্থার সঙ্গে ডিএলএফ সংস্থার জমি লেনদেন বাতিল করে দিয়েছিলেন। খেমকার যুক্তি, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছু হচ্ছে না। সবটাই লোক দেখানো।’’