নিজামাবাদ: তেলঙ্গানার ১৭টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি। ১১ এপ্রিল ভোট হয়েছিল এখানে। ১৮৫ জন প্রার্থী লড়েছেন এই কেন্দ্র থেকে। এর মধ্যে ১৭৮ জনই কৃষক। ওই কেন্দ্রের এক একটি বুথে ১২টি করে ইভিএম ব্যবহার করতে হয়। ১২টি ইভিএমকে একসঙ্গে ‘এল’ আকারে বসাতে হয়েছিল প্রতি বুথে। এক একটি ইভিএমে সর্বাধিক ১৬ জন প্রার্থীর নাম ছিল।
পোন্নানি: কেরলের ছোট্ট একটি লোকসভা কেন্দ্র। ১৯৫১ থেকে দেশের এই একটি মাত্র কেন্দ্রে কোনও নির্বাচনেই জিততে পারেনি কংগ্রেস। ১৯৫১-তে এই কেন্দ্রে প্রতিনিধিত্ব করে কিসান মজদুর পার্টি। ১৯৬২, ’৬৭ এবং ’৭২-এ সিপিএম। ১৯৭৭-২০১৯ পর্যন্ত প্রতিনিধিত্ব করেছে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ।
মালগাম: অরুণাচল প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি একটি গ্রাম। ২০১১ জনগণনা অনুযায়ী, এই গ্রামে মোট বাসিন্দার সংখ্যা পাঁচ। তাঁদের মধ্যে এক জনের নামই ভোটার তালিকায় রেজিস্ট্রিকৃত। তাঁর নাম সোকেলা তায়াং। ১১ এপ্রিল ভোট ছিল এই গ্রামে।
স্মৃতি ইরানি: নেহরু-গাঁধী পরিবারের চার সদস্য অমেঠীর সাংসদ ছিলেন। ১৯৮০-তে সঞ্জয় গাঁধী। তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৮১-তে রাজীব গাঁধী, ১৯৯৯-২০০৪ পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন সনিয়া গাঁধী। ২০১৪-তে এই কেন্দ্রের সাংসদ হন রাহুল গাঁধী। এ বার তাঁকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি।
বনেজ গ্রাম: গুজরাতের গির অরণ্যের গভীরে এই গ্রামটি। একমাত্র ভোটার ভরতদাস দর্শনদাসের জন্য নির্বাচন কমিশন ২০০৪-এ একটা গোটা বুথ বানিয়েছিল। ভরতদাস এক জন পুরোহিত। বনেজ গ্রামটি উনা বিধানসভা ক্ষেত্রে পড়ে।
নরেন্দ্র মোদী: অ-কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এর আগে যিনি সবচেয়ে বেশি সময় পদে ছিলেন তিনি অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি মোট ছ’বছর ৬৪ দিন প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম কার্যকালের মেয়াদ ছিল ১৯ মার্চ,১৯৯৮ থেকে ১০ অক্টোবর। দ্বিতীয় কার্যকালের মেয়াদ ১০ অক্টোবর,১৯৯৯ থেকে ২২ মে, ২০০৪।
কে পদ্মরাজন: তামিলনাড়ুর সালেম থেকে নির্বাচনে লড়েছেন প্রত্যেকটি। প্রতিবার হেরেছেন। ‘মোস্ট আনসাকসেসফুল ক্যান্ডিডেট’ হিসেবে লিমকা রেকর্ড বুকে নাম রয়েছে তাঁর। তিনি এক জন হোমিওপ্যাথি চিকিত্সক এবং ব্যবসায়ী। নিজেকে ‘অল ইন্ডিয়া ইলেকশন কিং’ বলে পরিচয় দেন।
ধনী ও দরিদ্র প্রার্থী: কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছেন চেভেল্লা থেকে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির হয়ে জিতেছেন। ২০১৮-য় কংগ্রেসে যোগ দেন। জেডিইউ-এর টিকিটে এই কেন্দ্র থেকেই লড়েছেন নাল্লা প্রেমকুমার।
নবীন পট্টনায়ক: পবন চামলিং ২৫ বছর ধরে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন (১৯৯৩-২০১৯)। অন্য দিকে, জ্যোতি বসু ২৩ বছর (১৯৭৭-২০০০) পশ্চিমবঙ্গে রাজত্ব করেন জ্যোতি বসু। ২০০০ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে রয়েছেন।
মাইসোর পেন্টস: ১৯৩৭ সালে সংস্থাটি চালু করেছিলেন নলবন্দি কৃষ্ণরাজা ওয়াদিয়ার। ১৯৪৭ সালে এটি সরকারি সংস্থায় পরিণত হয়। ভোটের কালি তৈরির জন্য ১৯৬২ সাল থেকে এই সংস্থাকে বেছে নেয় নির্বাচন কমিশন। এই সংস্থার কালি প্রথম ব্যবহার করা হয় দেশের তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনে।