বিভিন্ন সংসদীয় কমিটি থেকে এক ডজন সাংসদকে আচমকা সরিয়ে দিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এঁদের মধ্যে বরুণ গাঁধীর পাশাপাশি রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াও। মেয়াদ শেষের আগেই তাঁদের এই অপসারণের নেপথ্যে নরেন্দ্র মোদীর অসন্তোষই কাজ করেছে বলে অনেকে মনে করছেন।
আজ সকালেই সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু বলেছিলেন, কমিটিতে নিয়মিত উপস্থিত না থাকলে বা সাংসদেরা কাজে মন না দিলে, কমিটি থেকে তাঁদের বাদ দেওয়া হতে পারে। বিকেল গড়াতেই খবর আসে পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বরুণ গাঁধী, নন্দকুমার চৌহান, পঙ্কজ চৌধুরি। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি থেকে অহলুওয়ালিয়া ছাড়াও বাদ পড়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের পুত্র দুষ্মন্ত সিংহ, উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। এস্টিমেট কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিনোদ খন্না, দর্শনা বিক্রম, সঞ্জয় জয়সওয়াল, গণেশ সিংহ, ওম বিড়লা এবং কীর্তি আজাদ।
অহলুওয়ালিয়া বলেন, ‘‘এ বার আমি আর কমিটির জন্য আবেদন করতে চাইনি। দল অন্য সদস্যদের আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ যদিও এর মধ্যে বিজেপির অন্তর্কলহের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। যেমন, কীর্তি আজাদ তো বহু দিনই দলের মধ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসে আছেন। কেউ কেউ তাই বলছেন, এখন মোদীর তালে তাল না মেলালেই ওই দশা হবে। বাদ পড়া সাংসদরা ঘনিষ্ঠ মহলে বলছেন, অনুপস্থিতির বিষয়টি বাহানা। মোদী ও তাঁর সেনাপতিদের ‘গুড বুকে’ না থাকার জন্যই সরতে হল।