Winter Session Of Parliament

কংগ্রেসের সভায় মোদী-বিরোধী স্লোগান, সংসদ অচল বিজেপির

নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে রবিবার কংগ্রেসের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ তুলে আজ শাসক দল বিজেপি উত্তাল করে রাখল শীতকালীন অধিবেশন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৭
Share:

সাংসদ। — ফাইল চিত্র।

নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে রবিবার কংগ্রেসের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ তুলে আজ শাসক দল বিজেপি উত্তাল করে রাখল শীতকালীন অধিবেশন। সংসদের দুই কক্ষেই বিজেপি অধিবেশন শুরু হতেই দাবি তোলে, ক্ষমা চাইতে হবে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে। মূলত সরকার পক্ষের প্রতিবাদেই দফায় দফায় দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয় লোকসভা।

সোমবার রাজ্যসভার শুরুতে বিভিন্ন মন্ত্রকের নির্ধারিত কাগজ টেবিলে জমা পড়ার পরেই দলনেতা জে পি নড্ডা উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, “গত কাল কংগ্রেসের এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে যে স্লোগান তোলা হয়েছে, তা দলের প্রকৃত চিন্তাভাবনা এবং মানসিকতার প্রমাণ। দেশের প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, কাল কংগ্রেসের সমাবেশে স্লোগান উঠেছিল, ‘মোদী তেরি কবর খোঁড়েগি, আজ নাহি তো কাল খোঁড়েগি।’ এই ধরনের স্লোগানেই প্রমাণিত হয়, কংগ্রেস দলের মানসিকতা ও চিন্তাভাবনা।” তাঁর দাবি, “এই ঘটনায় সনিয়া গান্ধী এবং বিরোধী দলনেতার ক্ষমা চাওয়া উচিত।” এর পরে হইচই শুরু হয় কংগ্রেস বেঞ্চেও। দলের বক্তব্য, কোনও নেতা বা কর্মী এই ধরনের মন্তব্য করেননি, এটা উপস্থিত জনতার উড়ো মন্তব্য ছাড়া কিছু নয়। লোকসভাতেও একই ভাবে হইহল্লায় সংসদ দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায়।

পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলে বলেন, “সংসদের দুই কক্ষেই তাঁদের লিখিত ক্ষমা চাওয়া উচিত।” তাঁর দাবি, “কংগ্রেস এবং বিজেপির কর্মীরা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, কিন্তু শত্রু নন।”

কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ কে সি বেণুগোপাল বলেন, “ওই জনসভার সাফল্যে বিজেপি আতঙ্কিত। কোনও কংগ্রেস নেতা কি কোনও কুবাক্য উচ্চারণ করেছেন? হাজার হাজার লোক ওই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি যা করছে, তা তামাশা ছাড়া কিছু নয়।” কংগ্রেস নেতা মণিকম টেগোরের দাবি, এই সমাবেশ বিজেপির অন্দরে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। সেই কারণেই তারা কংগ্রেসকে আক্রমণ শুরু করেছে।

গোটা বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের পাশেই রয়েছে তৃণমূল। রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, “সরকার দু’ঘণ্টা অধিবেশন চলতে দিল না, অথচ কংগ্রেসের তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ওই স্লোগান দলের কারও নয়। এসেছে সামনে বসা কোনও দর্শকের থেকে।”

যদিও এই ঘটনায় কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব তৈরি করেছে তাদের শরিক দলগুলি। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী এসপি এবং এনসিপি (এসপি)-র দাবি, ‘আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু সাংবিধানিক পদে যাঁরা আছেন, তাঁদের সম্পর্কে কথা বলার সময় আমাদের সংযত থাকা উচিত।’ এনসিপি (শরদ পওয়ার) নেতা জয়ন্ত পাটিল জানিয়েছেন, এই স্লোগান দেওয়া ‘ঠিক নয়’। তিনি আরও বলেন, “যা-ই হয়ে যাক, তিনিআমাদের প্রধানমন্ত্রী।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন