বিজেপির আক্রমণের জবাব দিলেন মেহবুবা।
ইটের বদলে অবশেষে পাটকেল।
জম্মু-কাশ্মীরে জোট সরকারের পতনের জন্য এত দিন পিডিপি-কে দায়ী করে এসেছে বিজেপি। শনিবার জম্মু সফরে গিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘গত চার বছরে জম্মুর উন্নয়ন থমকে যাওয়ার জন্য দায়ী একমাত্র পিডিপি সরকার।’’ এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপি’র আক্রমণের জবাব দিলেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। টুইটে তিনি বলেছেন, বিজেপি-পিডিপি জোটের কর্মসূচি যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে বিজেপির রাম মাধব ছিলেন। সেই কর্মসূচি অনুমোদন করেছিলেন রাজনাথ সিংহ। এর পরেও জোট সরকারের নীতি নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলছে কেন?
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের অভিযোগ খারিজ করে তাঁর পাল্টা দাবি, জ্ম্মু ও লাদাখের মধ্যে কোনও বৈষম্য হয়নি। আর যদি সত্যিই বৈষম্য করা হত, তবে সরকারে থেকে বিজেপি কেন চুপ করে থাকল?এ দিকে জোট সরকার ভেঙে দেওয়ার পর থেকেই জাতীয়তাবাদের মতো বিষয়কে হাতিয়ার করে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। তাদের দাবি, জম্মু -কাশ্মীরে পিডিপি-র বাধাতেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছিল না। পাথর হামলা ঠেকানোর উদ্যোগ ছিল না মেহবুবা মুফতির। মেহবুবার পাল্টা দাবি, ‘‘জোট সরকারের শরিক বিজেপির সঙ্গে আলোচনা করেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন রাজনৈতিক কারণেই পিডিপি-র উপর দোষ চাপাচ্ছে বিজেপি।’’
আরও পড়ুন: মায়া-অখিলেশের বোঝাপড়া, দল ভাঙানো বন্ধ
আরও পড়ুন: ছুটি পেতেই স্কুলে খুন? তেমনই বলেছে ভদোদরার ক্লাস টেনের ছাত্র
যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছে, কাশ্মীরে মেহবুবার সঙ্গে জোট করার পর থেকেই বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামছিল। উদ্বেগ বাড়ছিল সঙ্ঘ পরিবারের অভ্যন্তরেও। বিজেপি নেতারা বুঝতে পারছিলেন, কাশ্মীর অশান্ত হয়ে উঠলে তার প্রভাব পড়বে লোকসভা ভোটেও। সেই জন্যে তাঁদের জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত। এ দিকে বিজেপি ও পিডিপি-র চাপানউতোরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তাঁর দাবি, দু’দলের মধ্যে গট আপ ম্যাচ চলছে।