দীর্ঘ টানাপড়েনের পর শেষ পর্যন্ত হাইলাকান্দি জেলা বিজেপির সভাপতি পদে সুব্রত নাথকেই মনোনীত করলেন দলের অসম রাজ্য নেতৃত্ব। শনিবার হাইলাকান্দিতে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন প্রদেশ সহ-সভাপতি মিশন রঞ্জন দাস।
গত কিছুদিন ধরে হাইলাকান্দি জেলা সভাপতির পদ নিয়ে বিজেপিতে গোষ্ঠী-রাজনীতি তুঙ্গে উঠেছিল। এই পদের দাবিদার ছিলেন মোট পাঁচজন। এঁদের মধ্যে থেকে তিনজনের নামের তালিকা তৈরি করে প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এই তিন জন হলেন: জেলার প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত দত্তচৌধুরী, রাজ্য কিষান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জওহর নাথ এবং জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পদক সুব্রত নাথ। সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে গত দু’মাস ধরে দলে লবি-বাজি চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত আজ সেই চাপানউতোরে ইতি টেনে দিলেন রাজ্য নেতৃত্ব।
মিশন রঞ্জন দাস আজ এখানে এসেই দলের কর্মকর্তাদের নিয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকে জেলা বিজেপির বর্তমান সভপতি ক্ষিতীশ রঞ্জন পাল, জেলা নির্বাচনী অফিসার শশাঙ্ক শেখর ধর, বরক উপত্যকার সাংগঠনিক সম্পাদক নিত্যভূষণ দে উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকের মাঝপথে তাঁরা সুব্রতবাবুকে ডেকে নেন। সেখানেই তাঁকে দলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে নিত্যভূষণ দে জানান, ‘‘আগামী তিন বছরের জন্য সুব্রতবাবুকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেন জেলা নেতৃত্ব।
এরপর সুব্রত নাথকে মালা পরিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন উৎসাহী কর্মীরা। এদিকে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণার করে রাজ্য সহ-সভাপতি মিশন রঞ্জন দাস বলেন, ‘‘বিভিন্ন দিক বিচার, বিশ্লেষণ করে জেলার সাতটি মন্ডলের ১৪ জন প্রতিনিধির মতামত নিয়ে সুব্রতবাবুকে জেলা সভাপতি করা হয়েছে।’’ সুব্রতবাবুকে সভাপতি করা নিয়ে জেলার কর্মীদের মধ্যে কোন মতভেদ নেই বলেও তাঁর দাবি। সুব্রতবাবু জানান, সভাপতি হয়ে তিনি সংগঠনকে মজবুত করার ব্যাপারে সচেষ্ট হবেন। জেলায় চলতে থাকা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবেন।
সভাপতি পদ নিয়ে যে ভাবে দলবাজি চলছিল তাতে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণায় হুলুস্থুল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হলেও এদিন উত্তেজনার ছিটেফোঁটাও ছিল না। দলীয় কার্যালয়ে সুব্রত-বিরোধী সৈকতপন্থীদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য।