রাহুলের চিন সফর ঘিরে ফের বিতর্ক শুরু

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রাকে কেন্দ্র করে ফের বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলল বিজেপি। সম্প্রতি ওড়িশায় রাহুল একটি সাংবাদিক সম্মেলনে প্রসঙ্গক্রমে জানিয়েছিলেন যে, তিনি কৈলাস সফরকালে চিনের কয়েক জন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:০৫
Share:

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রাকে কেন্দ্র করে ফের বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলল বিজেপি। সম্প্রতি ওড়িশায় রাহুল একটি সাংবাদিক সম্মেলনে প্রসঙ্গক্রমে জানিয়েছিলেন যে, তিনি কৈলাস সফরকালে চিনের কয়েক জন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বিজেপি-র অভিযোগ, রাহুলের কৈলাসযাত্রা অছিলামাত্র। আসলে রাহুল গোপনে চিনের সঙ্গে আঁতাঁত করতে গিয়েছিলেন। তিনি কেন কেন্দ্রীয় সরকারকে না জানিয়ে চিনা মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন, তার কারণ দর্শানোর জন্য সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

এই গোটা বিতর্ক নিয়ে আজ মুখ খুলেছে চিনা সরকারও। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত লুয়ো ঝানঝও রাহুলের চিনা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেছেন, “চিনের সরকার সব সময়ই ভারতীয় পুণ্যার্থীদের স্বাগত জানিয়ে থাকে।” তাঁর এই মন্তব্যের পরে বিষয়টি নিয়ে বিজেপি আরও সুর চড়াতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রক বিষয়ক স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য রাহুল। সূত্রের খবর, ওই কমিটির বৈঠকে এবং কংগ্রেসের বিদেশনীতি বিষয়ক সেলে রাহুল বরাবরই ভারতের চিন-নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন। প্রকাশ্যেও তিনি ডোকলাম কাণ্ডের পরে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সমালোচনা করেছেন। ঘনিষ্ঠ শিবিরে রাহুল জানিয়েছেন, চিনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যাওয়া আদৌ বুদ্ধিমানের কাজ নয়। চিনকে হুমকি দিলে, ভারতীয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি তার সুযোগ নিয়ে বাড়তি হাওয়া পেয়ে যেতে বলেও মনে করেন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুলের এমন অবস্থানের জেরেই বিজেপি একাদিক বার অভিযোগ করেছে যে, কংগ্রেস সভাপতি চিনা সরকারের সঙ্গে নানা ভাবে যোগাযোগ করে দেশকে ঠকাচ্ছেন।

গত কাল ওড়িশায় ওই সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল বলেছিলেন, গত বছর অগস্ট মাসে মানস সফরের সময় তাঁর সঙ্গে চিনা মন্ত্রীদের কথা হয়। যাঁরা তাঁকে বলেছিলেন, তাঁদের দেশে নতুন চাকরি তৈরি করা কোনও বড় সমস্যা নয়। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই আসরে নামে বিজেপি। দলীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের কথায়, “দেশবাসী জানতে চায়, রাহুল গাঁধীর সঙ্গে চিনা মন্ত্রীদের কী কী বিষয়ে কথা হয়েছিল। তিনি যে দেশকে ঠকাচ্ছেন না তার নিশ্চয়তা কোথায়।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “চিনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসকে কেন রাহুল এই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে কিছু জানাননি। তিনি কেন প্রোটোকল ভাঙলেন, এই প্রশ্নের জবাব চাইছি আমরা।” বিজেপির বক্তব্য, কোনও সাধারণ ব্যক্তি অবশ্যই বিদেশে গিয়ে যে কোনও মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কিন্তু রাহুল গাঁধী দেশের একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। বিদেশের মাটিতে প্রোটোকল ভঙ্গ করার কোনও অধিকার তাঁর নেই। অন্য দিকে কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, বিজেপির কাছ থেকে দেশপ্রেমের পাঠ নিতে হবে না কংগ্রেস বা রাহুল গাঁধীকে। ওদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মনগড়া।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন