মনোহর পর্রীকর
মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর হাসপাতালে ভর্তি। আর গোয়ার সরকার বাঁচাতে নাজেহাল বিজেপি। শরিকদের ভিতরে ক্ষমতার লড়াই সামলাতে আসরে নামলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আর সন্ধেতেই কংগ্রেসের বিধায়কেরা রাজ্যপাল মৃদুলা সিংহের কাছে দাবি করেন, রাজ্যের প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বিজেপি সরকারকে বরখাস্ত করে বিকল্প সরকার গড়ার সুযোগ দেওয়া হোক তাঁদের।
৪০ সদস্যের বিধানসভায় সবচেয়ে বড় দল কংগ্রেস। দেড় বছর আগের বিধানসভা ভোটে তারা পেয়েছিল ১৬টি আসন। বিজেপি ১৪টি। তবে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি ও তিন নির্দলের সমর্থনে সরকার গড়েছিলেন পর্রীকর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে শুয়ে থাকতে দেখেই ক্ষমতার সমীকরণে নতুন মোড় আনার চেষ্টা চলছে।
রাহুল গাঁধীদের তৎপরতার পিছনে রয়েছে শাসক জোটে অস্থিরতা। হাসপাতালে ভর্তির আগে পর্রীকর মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির নেতা সুদীন ধভলীকরকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। অন্য শরিক গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি তা মানতে রাজি নয়। ওই দলের নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী বিজয় সরদেশাই জানিয়ে দেন, অল্প সময়ের জন্য নয়, পাকাপাকি কোনও বন্দোবস্ত হোক। এই অসন্তোষের মধ্যেই সরদেশাইকে ফোন করেন অমিত। জানান, একটি বিশেষ প্রস্তাব নিয়ে কথা বলতে চান তিনি। পরে সরদেশাই জানিয়েছেন, সরকারের স্থায়িত্ব প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অমিত। তবে বিজেপি সভাপতির থেকে সেই নির্দিষ্ট প্রস্তাবটি জানার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
পর্রীকরের পরে রাজ্য বিজেপিতে প্রভাবশালী নেতার অভাব বিজেপির সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। নিউ ইয়র্কে চিকিৎসা চলছে পুরমন্ত্রী ফ্রান্সিস ডি সুজার। মাস কয়েক আগেই স্ট্রোক হয়েছে বিদ্যুৎমন্ত্রী পি মাদকাইকরের। এই পরিস্থিতিতে ভোটে যাওয়ার ভাবনাও রয়েছে বিজেপির ভিতরে। এতে অবশ্য আপত্তি দলের বিধায়কদেরই।