স্থায়ী সরকারই ঝাড়খণ্ডে বিজেপি-র মূল অস্ত্র

‘স্থায়ী সরকার’ গড়ার ডাকই যে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি-র প্রধান অস্ত্র তা স্পষ্ট করে দিলেন দল সভাপতি অমিত শাহ। ঝাড়খণ্ডের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ করতে গিয়ে অমিত শাহ টেনে আনলেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রসঙ্গ। তাঁর বক্তব্য, “স্থায়ী সরকারের উপযোগিতা কী, তা নরেন্দ্র মোদী সরকার পাঁচ মাসের মধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৩৮
Share:

ভোটের ইস্তেহার। ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। রয়েছেন অরুণ জেটলি, অর্জুন মুন্ডাও। মঙ্গলবার রাঁচিতে।—নিজস্ব চিত্র

‘স্থায়ী সরকার’ গড়ার ডাকই যে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি-র প্রধান অস্ত্র তা স্পষ্ট করে দিলেন দল সভাপতি অমিত শাহ। ঝাড়খণ্ডের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ করতে গিয়ে অমিত শাহ টেনে আনলেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রসঙ্গ। তাঁর বক্তব্য, “স্থায়ী সরকারের উপযোগিতা কী, তা নরেন্দ্র মোদী সরকার পাঁচ মাসের মধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছে।”

Advertisement

আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে রাজ্যে পাঁচ পর্বের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। আজ ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে অমিত শাহ ছাড়াও হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও পেট্রোলিয়ম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এ ছাড়াও রাজ্য থেকে নির্বাচিত দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিন্হা ও সুদর্শন ভগতও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা স্থায়ী সরকারের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “রাজ্যে স্থায়ী সরকার না থাকার কারণে বিজেপি তিন বার ক্ষমতায় এসেও কোনও কাজ করতে পারেনি। যখনই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা এগিয়েছি, তখনই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সরকার ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই স্থায়ী সরকারের খুব প্রয়োজন।”

বিজেপি-র ইস্তাহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জন ঘোষণা-পত্র’। শাহ বলেন, এই ইস্তাহার তৈরি করতে গিয়ে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিরাট অংশের মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাঁদের আশা-আকাঙ্খা-চাহিদা এই ইস্তাহারে প্রতিফলিত হয়েছে বলেই এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জন ঘোষণা-পত্র’। অর্থমন্ত্রী জেটলি বলেন, “এ রাজ্যের রাজনীতির সঙ্গে দুর্নীতি ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। ভিন রাজ্যের পয়সাওয়ালা ব্যবসায়ীরা রাজ্যসভায় যাওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ডকে ব্যবহার করেন। ঝাড়খণ্ডের ভোটারদের নিজেদের আমূল বদলাতে হবে। রাজনীতির ব্যবসাকে দূর করে রাজ্যে স্থায়ী সরকার তৈরি করুন। তাহলে নিজেদের স্বার্থে কেউ সরকার ফেলে দিতে পারবে না।” অর্থমন্ত্রী জেটলি আজ আবারও ঝাড়খণ্ডবাসীকে জানিয়ে দেন, এ রাজ্যের কয়লা খনির নিলামের একশো শতাংশ লভ্যাংশ ঝাড়খণ্ডই পাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement