মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবই, বিজেপির চমক জিষ্ণু

আগরতলায় এসে আজ বিজেপি-র দুই কেন্দ্রীয় নেতা নিতিন গডকড়ী ও জুয়েল ওঁরাও, উত্তর-পূর্বের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৫:০৬
Share:

প্রস্তুতি: ত্রিপুরায় সরকার গঠনের দাবি জানাতে রাজভবনে বিপ্লব দেব (হলুদ পাঞ্জাবি)। তাঁর ডান দিকে জিষ্ণু দেববর্মা এবং বাঁ দিকে সুনীল দেওধর ও নগেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মা। মঙ্গলবার আগরতলায়। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী

ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রত্যাশিত ভাবেই দলের রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেবকে বেছে নিল বিজেপি। তবে সেই সঙ্গেই তাদের চমক, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জিষ্ণু দেববর্মার নাম ঘোষণা! ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য জিষ্ণু এখনও বিধায়ক নন। উপজাতি সংরক্ষিত আসন চড়িলামে তিনি বিজেপি-র প্রার্থী, যেখানে ১২ মার্চ ভোট। তাঁকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি এক দিকে যেমন উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রতি বার্তা দিল, তেমনই জোটসঙ্গী আইপিএফটি-কে চাপে রাখা হল।

Advertisement

আগরতলায় এসে আজ বিজেপি-র দুই কেন্দ্রীয় নেতা নিতিন গডকড়ী ও জুয়েল ওঁরাও, উত্তর-পূর্বের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব দলের নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ত্রিপুরায় বিজেপি-র পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধরও ছিলেন। বিধায়কদের মত নেওয়ার পরে গডকড়ীই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন। পরে বিজেপি এবং আইপিএফটি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল তথাগত রায়ের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে এসেছেন বিপ্লব। রাজভবন সূত্রের খবর, আগামী ৯ মার্চ অসম রাইফেলসের মাঠে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে। ত্রিপুরার মানুষকে ফের ধন্যবাদ জানিয়ে বিপ্লব বলেছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য উন্নয়ন ও সুশাসন। সেই লক্ষ্যেই কাজ করব।’’

আইপিএফটি-র দাবি ছিল, জনজাতি কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। তা ছাড়াও, উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য তলে তলে তারা চেষ্টা চালাচ্ছিল। আইপিএফটি সভাপতি এন সি দেববর্মার সঙ্গে বিজেপি নেতাদের এক প্রস্ত কথা হয়। পরে বিপ্লববাবুদের সঙ্গে রাজভবনে সরকার গড়ার দাবি জানাতে যান আইপিএফটি বিধায়কেরাও। এন সি প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘‘কী ধরনের মন্ত্রিত্ব চাই বা কোন দফতর চাই, সেই ব্যাপারে আমরা কিছু বলছি না। হিমন্তবিশ্ব শর্মা কাল এলে তাঁর উপস্থিতিতে আমরা ফের আলোচনা করব।’’ আইপিএফটি সূত্রের খবর, বিজেপি-র ঘোষণার প্রেক্ষিতে কাল, বুধবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।

Advertisement

মোট ৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় অনুপাতের নিরিখে ১২ সদস্যের মন্ত্রিসভা গড়া যাবে। কী ভাবে দফতর বণ্টন হবে, তা নিয়েও বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা ও বিপ্লব-সুনীলদের প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। আইপিএফটি থেকে তিন জনকে মন্ত্রী করতে চায় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী বাদে মন্ত্রিসভার বাকি ১০ সদস্যের নাম ও দফতর ভাগ দু’দিনের মধ্যে সেরে ফেলা হবে বলে বিজেপি সূত্রের বক্তব্য। বিপ্লব আজ বলেছেন, ‘‘শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আমরা তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমন্ত্রণ জানাচ্ছি দেশের ১৯টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন