বিজেপি’র অভ্যন্তরীণ সঙ্কট আরও তীব্র হল। সভাপতি পদ থেকে অমিত শাহের ইস্তফার দাবি তুলে দিলেন বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদ ভোলা সিংহ। বিহারে পরাজয়ের পরই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন এই প্রবীণ নেতা। কিন্তু বৃহস্পতিবার একটি সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও কড়া ভাষায় নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে আক্রমণ করলেন তিনি।
বিহারে পরাজয়ের গ্লানি আর দলে বিদ্রোহের আঁচ নিয়ে আপাতত বিদেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখনই দেশের মাটিতে আরও তীব্র হল ক্ষোভের আঁচ। শুধু বিরোধীরা নন, দলের প্রবীণ সাংসদ ভোলা সিংহও কঠোর সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রীর। বিহারে নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদী যে সব ভাষণ দিয়েছেন, তা মোটেই প্রধানমন্ত্রীকে মানায় না বলে ভোলা সিংহের দাবি। তিনি বৃহস্পতিবার বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী নিজেকে একেবারে স্থানীয় স্তরের নেতাদের পর্যায়ে নামিয়ে এনেছিলেন।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সম্পর্কেও ভোলা সিংহর মন্তব্য যথেষ্ট কড়া। তিনি বলেন, অমিত শাহর পাকিস্তান সংক্রান্ত মন্তব্যই বিহারে বিজেপি’র প্রবল ক্ষতি করেছে। প্রবীণ সাংসদের আক্রমণ, এই বিপুল পরাজয় কেন হল, তার ব্যাখ্যা অমিত শাহকেই দিতে হবে। প্রয়োজনে পদত্যাগও করতে হবে সভাপতি পদ থেকে।
বিহারের হারের জেরে মোদী-শাহ জুটি দলের মধ্যে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেও, তাঁদের কারও পদত্যাগের দাবি এই প্রথম উঠল। সেই দাবি এমন সময় উঠল, যখন মোদী দেশের বাইরে। বিজেপি’র অভ্যন্তরীণ সঙ্কট আরও তীব্র হবে, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।