সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়ো। ছবি: সংগৃহীত।
দিন কয়েক আগেই মাঝরাস্তায় এক ‘বিজেপি কর্মী’র সঙ্গমের ভিডিয়ো নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেই আবহে উত্তরপ্রদেশে দলীয় নেতার পার্টি অফিসে মহিলার সঙ্গে ‘অভব্যতা’র ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তাঁকে নোটিস পাঠাল বিজেপি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে গোণ্ডা জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োয় যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তিনি গোণ্ডা বিজেপির প্রধান অমরকিশোর কাশ্যপ (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। ১২ এপ্রিল রেকর্ড করা ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, পার্টি অফিসে এক মহিলার সঙ্গে ‘অশালীন’ আচরণ করছেন ওই বিজেপি নেতা। তার পর থেকেই নিন্দায় সরব হয়েছেন বিজেপির অন্য স্থানীয় নেতারা। বেশির ভাগ দলীয় কর্মী ভিডিয়োটিকে ‘লজ্জাজনক’ বলেও অভিহিত করেছেন। বিজেপি নেতৃত্বের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নোটিস পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট নেতাকেও। তাতে অমরকিশোরকে সাত দিনের মধ্যে তাঁর আচরণের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দনারায়ণ শুক্ল বলেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে বহুল প্রচারিত ভিডিয়োটিতে ওই নেতার আচরণ দলের সুনামকে ক্ষুণ্ণ করে। এটা শৃঙ্খলাহীনতার চরম নিদর্শন। তাই অমরকিশোরকে সাত দিনের মধ্যে বিজেপির রাজ্য কার্যালয়ে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না দিতে পারলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ যদিও অমরকিশোরের দাবি, ওই মহিলা তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন তিনি অসুস্থ, এবং বিশ্রামের জন্য জায়গা চান। অমরকিশোরের কথায়, ‘‘উনি আমাদের দলের একজন সক্রিয় সদস্য। উনি আমাকে ফোন করে বলেন, তাঁর শরীর ভালো লাগছে না। বিশ্রাম নিতে চান। তাই আমি তাঁকে পার্টি অফিসে নিয়ে এসেছিলাম।’’ ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ওই মহিলা সিঁড়ি বেয়ে উঠছেন। ঠিক তাঁর পিছনেই রয়েছেন নেতা। এর পর ওই নেতা মহিলাকে জড়িয়ে ধরে তাঁর কাঁধে হাত রাখেন। যদিও ওই নেতার যুক্তি, সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ওই মহিলার মাথা ঘুরছিল, তাই তাঁর হাত ধরেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের এক ‘বিজেপি কর্মী’র মাঝরাস্তায় সঙ্গমের ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্ক চলছে। রবিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যদিও ওই ব্যক্তির সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। তার মাঝেই আর এক নেতার ভিডিয়ো ঘিরে শুরু হল বিতর্ক।