রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মুখে বিরোধী দলগুলির নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিবিআই, আদালত এবং বিভিন্ন সরকারি আর্থিক তদন্তকারী সংস্থার তদন্তকে মূলধন করে আক্রমণাত্মক প্রচারে নেমে পড়ল বিজেপি।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান’ সংস্থার বিরুদ্ধে আয়কর দফতরের পদক্ষেপে স্থগিতাদেশের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান’ সংস্থার প্রধান অংশীদার সনিয়া ও রাহুল গাঁধী। আজ দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, তারা এই
রকম কোনও স্থগিতাদেশ দিতে ইচ্ছুক নয়। অন্য দিকে বহুজন সমাজ পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকির তোলা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত হাতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
পাশাপাশি আজই লালু প্রসাদের কন্যা মিশার বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার জমি কেলেঙ্কারির নতুন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর এই সব সিদ্ধান্তে সার্বিক ভাবে খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র নলিন কোহলি বলেন, ‘‘আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, অথবা তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছে। আমরা তদন্তের রায়ের জন্য অপেক্ষা করব। কিন্তু যে অভিযোগগুলি উঠছে সেগুলি মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়াটাও আমাদের নৈতিক কর্তব্য।’’
বফর্স প্রশ্নে বিরোধীরা রাজীব গাঁধীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছিল। তার পরে দীর্ঘ দিন কংগ্রেস আর ক্ষমতায় ফিরতে পারেনি। ২০০৪ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এবং আম-জনতার অসন্তোষকে পুঁজি করে ক্ষমতা ফিরে পায় কংগ্রেস। এ বারে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের ধরাশায়ী করতে করে দুর্নীতিকে হাতিয়ার করার সেই কৌশলই নিয়েছে বিজেপি।