দ্রুত বিহারে ভোট করানোর জন্য কমিশনের কাছে আর্জি বিজেপির। —ফাইল চিত্র।
বিহারের বিধানসভা ভোট এক বা দুই দফাতেই সেরে ফেলা হোক। শনিবার নির্বাচন কমিশনের কাছে এই আর্জিই জানাল বিজেপি। একই সঙ্গে বোরখা পরে ভোট দিতে যাওয়া মহিলাদেরও শনাক্ত করার জন্য কমিশনকে অনুরোধ করেছে তারা। চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা ভোট। তার আগে ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শনিবার দু’দিনের সফরে পটনা গিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এরই মধ্যে কমিশনের উদ্দেশে নিজেদের প্রস্তাব জানিয়ে রাখল বিহার বিজেপি।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন কমিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শনিবার সকালে দেখা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। বিহার বিজেপির সভাপতি দিলীপ জয়সওয়ালের নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধিদলও বৈঠক করে কমিশনের সঙ্গে। ওই বৈঠকে নির্বাচনের সময়ে পর্যাপ্ত আধাসেনা বাহিনী মোতায়েনের জন্যও অনুরোধ করেন জয়সওয়াল। বিশেষ করে যে এলাকাগুলিতে ভোটারদের ভয় দেখানো এবং বুথ দখলের আশঙ্কা রয়েছে, সেই স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। কমিশনের সঙ্গে বৈঠকশেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এক বা দুই দফায় ভোট করানোর জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছি। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অহেতুক দীর্ঘায়িত করার দরকার নেই।”
একই সঙ্গে প্রকৃত ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন কি না, তা-ও যাচাই করার জন্য কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছেন তিনি। জয়সওয়াল বলেন, “ভোটারদের, বিশেষ করে বোরখা পরা মহিলাদের মুখের সঙ্গে তাঁদের ভোটার কার্ডের ছবির মিল রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে হবে। যাতে শুধুমাত্র প্রকৃত ভোটারেরাই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
বিহারের যে গ্রামগুলিতে অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের জনসংখ্যা বেশি, সেই এলাকাগুলিতে কয়েক দিন আগে থেকেই আধাসেনা মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। ওই এলাকাগুলিতে ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে রুট মার্চের প্রস্তাবও দিয়েছেন বিহারের বিজেপি সভাপতি। কমিশনের নিয়ম অনুসারে নির্বাচন ঘোষণার দিন এবং ভোটগ্রহণের দিনের মধ্যে অন্তত ২৮ দিনের ব্যবধান থাকা প্রয়োজন। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জয়সওয়াল বলেন, “যদি ধরে নেওয়া হয় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করা হবে, তবে নভেম্বরের ৩-৪ তারিখের মধ্যে ভোটগ্রহণ করা যেতে পারে।” যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিহারের ভোট সেরে ফেলা উচিত বলেই জানিয়েছেন বিহারের বিজেপি প্রধান।