ত্রিপুরায় বামফ্রন্টকে হারাতে তৃণমূলের সাহায্য চাইছে বিজেপি! পাশে চায় কংগ্রেসকেও।
রাজ্যে গেরুয়া দলের নেতাদের কার্যকলাপ আর মন্তব্যে সেটাই ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। সোমবার তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই, গত রাতে প্রদেশ কংগ্রেসের এক প্রথম সারির নেতার বাড়িতে হাজির হন বিজেপির বিপ্লব দেব। রতনলাল নাথের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে রতনবাবুও কোনও রাখঢাক না করে বলেন, ‘‘সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়, দু’জনের মধ্যে রাজনৈতিক কথাবার্তাই হয়েছে। রাজ্যে বিরোধী ভোট কী ভাবে একজোট করা যায় তা নিয়ে শলাপরামর্শ চলেছে।’’
দু’দিন আগে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিপ্লববাবু| সেই বৈঠকের পর প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আশিস সাহাও বলেছিলেন, ‘‘বামফ্রন্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করতে বিরোধীদের মধ্যে এ রকম আলোচনা চলতেই পারে।’’ রাজ্যে সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক আঁতাঁত নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল।
কংগ্রেসের প্রাক্তন পরিষদীয় দলনেতা রতনলালবাবুর সঙ্গে বিজেপি নেতার বৈঠকের কথা জেনে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বলেন, ‘‘এআইসিসি-কে জানানো হয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করা হচ্ছে।’’ রতনলালবাবুর বিরুদ্ধে কয়েক দিন আগে প্রদেশ কংগ্রেস নালিশ জানিয়েছিল, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে তিনি বিমুদ্রায়নকে সমর্থন করে বক্তব্য রেখেছেন| তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এআইসিসি-র কাছে নালিশও জানানো হয়| বীরজিৎবাবুর অভিযোগ, ‘সিবিআই জুজু’ দেখিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের নিজেদের দিকে টানতে চাইছে বিজেপি। অসমে তাঁরা এমনই কাজ করেছে। কংগ্রেস মুখপাত্র তাপস দে জানান, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মনের বিরুদ্ধেও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর বলেছেন, ‘‘এ ধরনের পদক্ষেপ নীতিহীন, জনস্বার্থবিরোধী| সঙ্কীর্ণ দলীয় স্বার্থে বিজেপি, তৃণমূল রাজ্যে বিচ্ছিন্নতার বীজ বপণ করতে চাইছে।’’