করিমগঞ্জে জেলা ক্রীড়া সংস্থা বিজেপির কাছে হারাল কংগ্রেস।
৯০টি ভোট পেয়ে কংগ্রেস সমর্থিত কেতকীপ্রসাদ দত্তকে পরাজিত করলেন বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য। কেতকীবাবু পান ২৮টি ভোট।
রাজনৈতিক দলের দুই প্রাক্তন সভাপতির লড়াইয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সভা কংগ্রেস-বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চে বিভাজিত হল। এত দিন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি পদটি কংগ্রেসের দখলে ছিল। দায়িত্বে ছিলেন জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কেতকীবাবু। তখন রাজ্যে ছিল কংগ্রেসের শাসন।
এ বার ছবিটা বদলে যায়। রাজ্যের তখ্তে বসেছে বিজেপি। তাই সভাপতির পদ দখল বিজেপির কাছে আত্মমর্যাদার লড়াই হয়ে উঠেছিল বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল করিমগঞ্জে।
কেতকীবাবু ছিলেন ভোটের ময়দানে। তাঁর বিরুদ্ধে লড়তে নামেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য। আজ কেতকীবাবুর পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাজেট তুলে ধরা হয়। কমিটি গঠন নিয়ে বার বার দুই প্রার্থীকে বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও, কেউ মেনে না নেওয়ায় ভোটগ্রহণ করতে হয়। সংস্থা সূত্রে খবর, ১২৮ জন ভোটারের মধ্যে ১২১ জন উপস্থিত ছিলেন। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হয়।
দু’টি রাজনৈতিক দলের প্রাক্তন সভাপতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জেরে রাজনীতির উত্তাপ ছিল আগাগোড়াই। দস্তুরমতো ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটপ্রচার করা হয়। ফলাফলে জানা যায়, সভাপতি পদে বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য ৯০টি ভোট এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কেতকীবাবু ২৮টি ভোট লাভ করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজেপি সমর্থিত অমলেশ চৌধুরী ৬৩টি এবং কংগ্রেস সমর্থিত বিশ্বজিত ঘোষ ৫৩টি ভোট লাভ করেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ বারের কমিটি নির্ধারণে কংগ্রেসের সমর্থিত একমাত্র তাপসকান্তি পুরকায়স্থ ছাড়া অন্য কেউ জয়লাভ করতে পারেননি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন ঘিরে কংগ্রেস-বিজেপি পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করে। গত কাল গভীর রাত পর্যন্ত প্রচার চলে। কংগ্রেস প্রার্থীর পক্ষে উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ যাবতীয় রণনীতি তৈরি করলেও, আজ সকালে তিনি গুয়াহাটিতে চলে যান।
কাল থেকে অসম বিধানসভার অধিবেশন। সেই কারণেই তাঁকে গুয়াহাটিতে যেতে হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান। পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল দলীয় কার্যালয়ে বসে নির্বাচন, ভোটের বিষয়ে তৎপর ছিলেন। ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনে যাতে সমস্যা না হয় তাই পুলিশ-সিআরপি মোতায়েন হয় করিমগঞ্জের জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে।