প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টায় ছিল নরেন্দ্র মোদীর দল। সাবেক জোট শরিক পিডিপি-র হাত ধরে উপত্যকায় পদ্ম ফোটানোর কাজে বেশ কিছুটা এগিয়েছিল তারা। এ বার জম্মু-কাশ্মীরের পুরভোটে কাশ্মীরের দক্ষিণে চারটি অশান্ত জেলা-সহ উপত্যকার বিভিন্ন অংশে জিতল বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে লাদাখে একেবারেই খাতা খুলতে পারেনি মোদীর দল। সেখানে সিংহভাগ আসন দখল করেছে কংগ্রেস। দুই প্রধান আঞ্চলিক দল ভোটে অংশগ্রহণ করেনি। রাজনীতিকদের মতে, এই ভোটে বিশেষ সাড়া মেলেনি। কিন্তু আঞ্চলিক দলের বদলে জাতীয় দলের এই উত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ।
পুরভোটে উপত্যকায় বিশেষ সাড়া মেলেনি। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কেন্দ্রের উপরে ক্ষুব্ধ ছিল উপত্যকার মূলস্রোতের রাজনৈতিক দলগুলিও। শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাস ও অশান্ত পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে পুরভোট থেকে সরে দাঁড়ায় ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপি। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে। পুরভোটে উপত্যকায় ভোটদানের গড় হার ছিল ৪.৭ শতাংশ।
দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ, কুলগাম, পুলওয়ামা ও শোপিয়ানে ২০টি পুরসভার মধ্যে ৪টি দখল করেছে বিজেপি। শ্রীনগর পুরসভা দখল করতে অবশ্য জোট গড়তে হবে বিজেপিকে। প্রাক্তন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাজ্জাদ লোনের সঙ্গে জোট করলে পুরসভা দখল করতে পারবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে হিসেবে প্রাক্তন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা জুনেইদ মাট্টুর নাম ঘোষণা করেছেন সাজ্জাদ।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার দায় নিল না কেউই! ক্ষোভে ফুঁসছে অমৃতসর
জম্মুর জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রিয়াসি, ডোডা, খিস্তওয়ার, রামবন, উধমপুর, পুঞ্চ ও রাজৌরিতেও অধিকাংশ আসন দখল করেছে বিজেপি। কিন্তু উলটপুরাণ দেখা গিয়েছে বৌদ্ধপ্রধান লাদাখে। সেখানে একটিও আসন পায়নি বিজেপি। লে পুরসভা কমিটির ১৩টি পদ দখল করেছে কংগ্রেস। লাগোয়া কার্গিল জেলাতেও পাঁচটি আসন পেয়েছে তারা। ফলে লাদাখে পুরসভা কংগ্রেসই দখল করবে বলে মনে করা হচ্ছে। লাদাখ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপির থুপস্থান ছেওয়াং। কিন্তু ২০১৪ সালে লাদাখের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র দখল করেছিল কংগ্রেস। লাদাখে বিজেপি-বিরোধী স্রোত অব্যাহত বলে দাবি কংগ্রেসের।