নেতাদের ছাড়াই ধর্মঘটে বিএমএস

শেষ বেলায় মাথা সরে গেলেও ধড় কিন্তু রয়ে গেল সরকার-বিরোধী ধর্মঘটেই। শ্রমিক সংগঠনগুলির ধর্মঘট থেকে শেষ মুহূর্তে দূরত্ব বাড়ায় সঙ্ঘ-পরিবারের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস। কিন্তু আজ অনেক রাজ্যেই বিএমএস-এর কর্মী-সদস্যরা ধর্মঘটে অংশ নিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৩৩
Share:

শেষ বেলায় মাথা সরে গেলেও ধড় কিন্তু রয়ে গেল সরকার-বিরোধী ধর্মঘটেই।

Advertisement

শ্রমিক সংগঠনগুলির ধর্মঘট থেকে শেষ মুহূর্তে দূরত্ব বাড়ায় সঙ্ঘ-পরিবারের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস। কিন্তু আজ অনেক রাজ্যেই বিএমএস-এর কর্মী-সদস্যরা ধর্মঘটে অংশ নিলেন। দিল্লিতে যেমন অটো-ট্যাক্সি চালকরা বিএমএস-এর সমর্থক হয়েও ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন, তেমনই
রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে সরকারি পরিবহণ সংস্থার বিএমএস-এর অনুমোদিত ইউনিয়নের কর্মীরা ধর্মঘট করেছেন।

বিএমএস যুক্তি দিয়েছিল— ন্যূনতম বেতন, বোনাসের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষার মতো কিছু দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছে মোদী সরকার। তা হলে বিএমএস-এর অনুমোদিত শাখাগুলি ধর্মঘট করলো কেন? সংগঠনের অন্যতম সম্পাদক জয়ন্তী লালের দাবি, ‘‘ওঁরা স্থানীয় কারণ নিয়ে ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবিদাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।’’

Advertisement

উদাহরণ হিসেবে বিএমএস-এর সম্পাদকের ব্যাখ্যা— দিল্লিতে কেজরীবাল সরকার যে গণ পরিবহণ নীতি নিয়েছে, তাতে অটো ও ট্যাক্সির ব্যবসা মার খাবে। রাজস্থানেও সরকারি নীতির বিরুদ্ধে পরিবহণ কর্মীদের ক্ষোভ ছিল। তাই তাঁরা ধর্মঘটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এই যুক্তি দিয়ে বিএমএস পরোক্ষে মেনেছে, রাজস্থানে সঙ্ঘ-পরিবারের শ্রমিক সংগঠনই রাজ্যের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। তার জন্য ধর্মঘটেও যেতেও পিছপা নন।

বাম-কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের নেতারা একে নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছেন। তাঁদের যুক্তি, রাজস্থানে শ্রম আইনে যে সব সংস্কারের নীতি নেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রে মোদী সরকার তা-ই রূপায়ণ করার চেষ্টা করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন