শেষ অবধি জামিন পেলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিএনপির শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ। তবে মিলল না শিলং ছাড়ার অনুমতি।
১১ মে শিলং থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ধরা পড়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পুলিশ জানিয়েছিল তাঁকে ঠিকমতো জেরা করা যায়নি। দু’দিন আগে পুলিশ চার্জশিট তৈরি করে আদালতে জমা দেয়। সালাউদ্দিনের দাবি ছিল, মার্চ মাসে বাংলাদেশের ঢাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে। এরপর চোখ বেঁধে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাবার পরে তাঁকে শিলং-এ ছেড়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চার্জশিটে সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, বাংলাদেশে দেশবিরোধী বিভিন্ন কাজে লিপ্ত থাকায় তাঁকে পুলিশ খুঁজছিল। গ্রেফতারি এড়াতেই সম্ভবত স্বেচ্ছায় পালান সালাউদ্দিন। দালালদের সাহায্যে এ দেশে ঢোকেন তিনি। পুলিশ অবশ্য বলছে, দউকি সীমান্ত থেকে কোনও বৈথ নথি ছাড়া সালাউদ্দিনের শিলং আসার রহস্য এখনও ভেদ হয়নি। ইন্টারপোল সালাউদ্দিনের ব্যাপারে রেড কর্নার নোটিশ জারি করে। সালাউদ্দিনের স্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ হাসিনা আহমেদ স্বামীর চিকিত্সার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানালেও আদালত সেই অনুমতি দেয়নি। আজ দু’লক্ষ টাকার বন্ডে সালাউদ্দিনকে জামিন দিয়ে আদালত বলে, আপাতত তিনি শিলং ছাড়তে পারবেন না। তাঁকে প্রতি সপ্তাহে এসপির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জমা দিতে হবে তাঁর বাড়ির ঠিকানা-সহ প্রমাণপত্রও।