ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ডের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদীকে থামিয়ে বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র বলে উঠলেন, ‘‘আপনি তো এর আগে মহিলাদের প্রবেশের বিরোধিতা করেছিলেন!’’ দ্বিবেদী বললেন, ‘‘বোর্ড আদালতের রায় মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবিধানের ২৫ (১) ধারা অনুযায়ী সকলের ধর্মাচরণের অধিকার রয়েছে।’’ কেরলের শবরীমালা মন্দিরের পরিচালন বোর্ডের এমন ‘ইউ-টার্নে’ তখন বিস্ময় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের এজলাসে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর শবরীমালায় সব বয়সের মহিলাকে প্রবেশাধিকার দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় পুনর্বিবেচনার ৫৬টি আর্জি-সহ মোট ৬৫টি আবেদনের শুনানি ছিল আজ। সাড়ে তিন ঘণ্টা শুনানির পরে রায় স্থগিত রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু অনেককে অবাক করেই কেরল সরকারের সঙ্গে গলা মিলিয়েছে দেবস্বম বোর্ড। তাদের আইনজীবী দ্বিবেদীর বক্তব্য, ‘‘শারীরবৃত্তীয় কারণে জীবনের কোনও পথ থেকে মহিলাদের সরিয়ে রাখা যায় না।’’
পরে বোর্ডের সভাপতি এ পদ্মকুমার বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের অবস্থানের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। জানতে চাওয়া হয়েছিল, রায় মানছি কি না। সময় চেয়েছিলাম। আজ জানিয়ে দিলাম, মেনে নিচ্ছি।’’
আদালতে আজ সেপ্টেম্বরের রায়ের বিরোধিতা করেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত (তন্ত্রী) ও নায়ার সার্ভিস সোসাইটির আইনজীবীরা। কিছুটা বিতর্ক হয়েছে দেবস্বম বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আইনজীবী হিসেবে রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সওয়াল করায়। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ঋতুযোগ্য মহিলাদের শবরীমালায় প্রবেশের পক্ষে প্রথমে মত দিলেও পরে ‘প্রথা’কে গুরুত্ব দিয়ে মধ্যপন্থা নিয়েছেন।