পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবিতে বড়ো ছাত্র সংগঠন আবসুর ডাকা ১২ ঘণ্টার রেল অবরোধের জেরে দিনভর থমকে গেল ট্রেন চলাচল। চরম হয়রানির শিকার হলেন যাত্রীরা।
বড়ো সমস্যার দ্রুত সমাধান ও পৃথক বড়ো রাজ্য গঠনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালানো আবসু দফায় দফায় বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এর আগে তারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল। আজ আবসুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আলোচনাপন্থী এনডিএফবি, পিজিএসিবিএমের সহস্রাধিক সদস্য-সমর্থক বড়োভূমির বিভিন্ন স্টেশনের রেললাইনে বসে পড়েন। ফলে আলিপুরদুয়ার ও রঙিয়া ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে থমকে যায় ট্রেন চলাচল। রেলের তরফে দূরপাল্লার যাত্রীদের স্টেশনগুলিতে খাবার ও জল দেওয়া হয়। আলিপুরদুয়ার, রঙিয়া, মালিগাঁওয়ে খোলা হয় বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
রেলসূত্রে খবর, কোকরাঝাড়ে সিফুং প্যাসেঞ্জার, ফকিরাগ্রামে আপ লামডিং ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, লোকমান্য তিলক-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, নিউ আলিপুরদুয়ারে দাদর এক্সপ্রেস, নিউ আলিপুরদুয়ারে-সরাইঘাট এক্সপ্রেস, নিউ কোচবিহারে-ওখা-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, ধুপগুড়িতে জম্মু-তাওয়াই, বারসইতে ব্রহ্মপুত্র মেল, নিউ জলপাইগুড়িতে যশবন্তপুর-কামাখ্যা ও কামরূপ এক্সপ্রেস, আলুবাড়িতে কলকাতাগামী গরীব রথ, বঙাইগাঁওতে বিজি প্যাসেঞ্জার, কাটিহারে আনন্দবিহার-গুয়াহাটি নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস, রাঙাপাড়ায় মুরকংসেলেক কামাখ্যা ইন্টারসিটি আটকে থাকে। দিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেসকে ডালখোলা ও কাটিহারে দাঁড় করানো হয়। দিল্লিগামী রাজধানীকে দাঁড় করানো হয় নিউ বঙাইগাঁওয়ে। গোয়ালপাড়ায় কামাখ্যা-গয়া, বরপেটায় হাওড়াগামী কামরূপ, রঙিয়ায় দিল্লিগামী এনই এক্সপ্রেস, গুয়াহাটিতে ওখা এক্সপ্রেস, চেন্নাই এগমোর এক্সপ্রেস ও ব্রহ্মপুত্র মেল এবং কামাখ্যায় ডিব্রুগড়-কলকাতা কামাখ্যা স্পেশ্যাল দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। বিকেলে অবরোধ উঠলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে রাত হয়ে যায়।