Rajasthan Dead Body Recovered

বাড়ির ছাদে মুখবন্ধ নীল ড্রামে যুবকের পচাগলা দেহ মিলল রাজস্থানে! ফেরার স্ত্রী, সন্তানেরা

সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, রাজস্থানের তিজারা জেলার আদর্শ কলোনি এলাকার একটি বাড়িতে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন হংসরাজ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৫ ২৩:৪০
Share:

এই নীল ড্রাম থেকেই উদ্ধার হয় দেহ। —ছবি : সংগৃহীত

ভাড়া বাড়ির দোতলার ছাদে রাখা ড্রাম থেকে মিলল যুবকের পচাগলা দেহ! রবিবার রাজস্থানের অলওয়ারে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম হংসরাজ ওরফে সুরজ। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা ফেরার। তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, রাজস্থানের তিজারা জেলার আদর্শ কলোনি এলাকার একটি বাড়িতে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন হংসরাজ। বাড়ির দোতলায় থাকতেন তাঁরা। একতলায় থাকতেন বাড়ির মালকিন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে দেখা যায়নি ওই পরিবারকে। রবিবার সকালে বাড়ির মালকিন কোনও কাজে দোতলায় গিয়েছিলেন। সে সময় ছাদে রাখা একটি নীল রঙের ড্রাম থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। ড্রামের ঢাকা সরাতেই বেরিয়ে আসে এক যুবকের পচাগলা দেহ। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, বাড়ির দোতলার ছাদে বেশ কয়েক দিন ধরেই রাখা ছিল ড্রামটি। আগে কখনও বাড়ির মালকিন কিংবা প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়নি। রবিবার সকাল থেকে ওই ড্রাম থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। ড্রামটির উপর একটি ভারী পাথরও চাপানো ছিল। সম্ভবত দুর্গন্ধ আটকাতেই রাখা হয়েছিল পাথরটি।

পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হংসরাজ কিষাণগড় এলাকায় একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী এবং তিন সন্তানের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

Advertisement

তবে দেহটি কত দিন ধরে ড্রামের ভিতর ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খুনের কারণও জানা যায়নি। নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ। ডেপুটি পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, ‘‘দেড় মাস আগে আদর্শ কলোনির বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন হংসরাজ ও তাঁর পরিবার। তবে এখনও নিহতের পরিবারের কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছে পুলিশ।’’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে এমনই একটি নীল ড্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছিল সৌরভ রাজপুত নামে এক যুবকের দেহ। প্রেমিক সাহিল শুক্লের সঙ্গে মিলে সৌরভকে খুন করেছিলেন তাঁরই স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী। খুনের পর দেহটি ১৫ টুকরো করে ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে ড্রামের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনারই স্মৃতি ফিরছে রাজস্থানের ঘটনায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement