দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত দানিশ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামাসের কৌশলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল ‘ডক্টর টেরর মডিউল’-এর। ধৃত জসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশকে জেরা করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আর সেই হামলার জন্য বানানো হচ্ছিল অত্যাধুনিক এবং বোমা বহনক্ষম ড্রোন। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দানিশের ফোন ঘেঁটে এমনই তথ্য এবং ড্রোনের বেশ কিছু ছবি উদ্ধার করেছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, ধরা পড়ার আগে দানিশ তাঁর ফোন থেকে এই তথ্য এবং ছবিগুলি মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। সেগুলি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি সূত্রের। শুধু ড্রোনই নয়, বানানো হচ্ছিল রকেট লঞ্চারও। কী ভাবে ড্রোনে বোমা ব্যবহার করা হবে, কতটা শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে, সব কিছু অ্যাপের মাধ্যমে দানিশের কাছে পাঠানো হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, ড্রোনগুলি ২৫ কিলোমিটার দূরে গিয়েও হামলা চালাতে পারবে— এমন মারণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছিল বলে তদন্তকারী সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, যে ড্রোন এবং রকেট লঞ্চারের ছবি উদ্ধার হয়েছে দানিশের ফোন থেকে, সেগুলির নকশা দেখে তদন্তকারীদের ধারণা হামাস বাহিনী যে কৌশলে রকেট এবং ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়, ঠিক সেই কৌশলই নেওয়া হয়েছিল ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে। তদন্তকারী সূত্রের খবর, এক মিনিটে তিনটি রকেট দিয়ে হামলা চালানোর মতো ব্যবস্থারও হদিস মিলেছে। দানিশের ফোন থেকে বেশ কয়েকটি বিদেশি ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে বলেও সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, গত ১৭ নভেম্বর শ্রীনগর থেকে দানিশকে গ্রেফতার করে এনআইএ।
তদন্তকারী সূত্রের খবর, অত্যাধুনিক ড্রোন বানাতে দক্ষ দানিশ। এনআইএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ড্রেন এবং রকেট লঞ্চারে সমস্ত রকম প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং তা প্রস্তুত করতে দানিশের ভূমিকা ছিল। শক্তিশালী বোমা বহন করতে পারে এমন ড্রোন বানানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। গত ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর সামনে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অনেকে।