প্রতীকী ছবি।
বয়কটের ডাকের উত্তরে এল পরোক্ষ হুমকি। ভারতে চিনা দূতাবাস বৃহস্পতিবার রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে বলল, চিনা পণ্য বয়কট করলে আখেরে ক্ষতি ভারতেরই। কারণ তাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ক ধাক্কা খাবে এবং ভারতে চিনা সংস্থার লগ্নিও মার খাবে। কিন্তু চিনের বিরাট ক্ষতি হবে না।
সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে ভারত-পাক সম্পর্কের উত্তেজনার এই আবহে চিন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারই প্রতিক্রিয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা গোষ্ঠীর তরফে দীপাবলির মরসুমে চিনা পণ্য বয়কট করার ডাক শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স-এর পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, দীপাবলির বাজারে চিনা পণ্যের কাটতি ৩০ শতাংশ কমতে পারে। দিল্লির সদর বাজার এ দেশে ঘরোয়া জিনিসপত্র কেনাবেচার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। চিনে তৈরি সস্তা আলো, বাজি, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, খেলনা, ঘড়ি এবং আরও নানা সামগ্রীর বিকিকিনি সেখানে সারা বছরই চাঙ্গা। সেই বাজারেও চলতি মরসুমে চিনা পণ্যের বিক্রি ২০ শতাংশ কমেছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে এ বার মুখ খুলল চিন।
চিনা দূতাবাসের বিবৃতিতে এ দিন দাবি করা হয়েছে, চিনের মোট রফতানির মাত্র ২ শতাংশ আসে ভারতের বাজারে। সুতরাং ভারত পণ্য বয়কট করলে চিনের খুব বেশি কিছু যাবে আসবে না। কিন্তু— ওই বিবৃতি বলছে— ফলটা আসলে ভুগতে হবে ভারতকেই। ‘‘এ ভাবে চললে ভারতে চিনের লগ্নি মার খাবে, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাতেও ধাক্কা লাগবে। সেটা দু’দেশের মানুষের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।’’ যদিও হুমকির সুরে এমন বিবৃতি দিয়ে চিন এক অর্থে বুঝিয়েই দিল, পণ্য বয়কটের ডাককে খুব হালকা ভাবেও নিচ্ছে না তারা।