বিমান পরিবহণে যুক্ত? ‘বিএ’ পরীক্ষা দিন

এত দিন এই পরীক্ষা যাত্রী উড়ানের পাইলট এবং বিমানকর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রতিটি উড়ানের আগেই এই পরীক্ষা হয়।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

শুধু পাইলট বা বিমানকর্মী নয়, বিমান পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত অন্যদেরও এ বার ব্রেথ অ্যানালাইজার বা বিএ পরীক্ষা দিতে হবে।

Advertisement

এত দিন এই পরীক্ষা যাত্রী উড়ানের পাইলট এবং বিমানকর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রতিটি উড়ানের আগেই এই পরীক্ষা হয়। তাই উড়ানসূচির ১২ ঘণ্টার মধ্যে পাইলট বা বিমানকর্মীরা মদ্যপান এড়িয়ে চলেন। অনেকে উড়ান ধরতে যাওয়ার আগে নিজেই পরীক্ষা করে দেখেন। পজিটিভ এলে ‘অসুস্থ’ বলে ছুটিও নিয়ে নেন অনেকে। এ বার ভারতের বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর নির্দেশ, বিমানবন্দরের অন্য অফিসারদেরও বিএ পরীক্ষা দিতে হবে।

এই দলে প্রথমেই রয়েছেন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) অফিসারেরা। ডিজিসিএ-র মতে, যাত্রীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটিসি অফিসারদের গুরুত্ব অপরিসীম। সামান্যতম চ্যুতি সেখানে বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। ‘এয়ারপোর্ট অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার’-এর অফিসার, বিমান রক্ষণাবেক্ষণের ইঞ্জিনিয়ারদেরও বিএ পরীক্ষা হবে। এমনকি, বিমানযাত্রীদের বাসচালক, যে মার্শালেরা বিমানকে পথ দেখিয়ে পার্কিং বে-তে দাঁড় করানোর কাজ করেন— তাঁরাও এই পরীক্ষার আওতায় আসবেন।

Advertisement

যাঁরা আওতায় আসবেন
এটিসি অফিসার, বিমানের ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাপ্রন কন্ট্রোল অফিসার, দমকলকর্মী, যাত্রিবাহী বাসচালক, ক্যাটারিং, জ্বালানি ও অন্যান্য গাড়ির চালক, মার্শাল, গ্রাউন্ট হ্যান্ডলার্স (যাঁরা বিমানে সিঁড়ি লাগান, যাত্রীদের মালপত্র ওঠানো নামানোর কাজ করেন), অ্যারোব্রিজ অপারেটার

শাস্তির বিধান
• প্রথম বার ধরা পড়লে তিন মাস সাসপেন্ড
• দ্বিতীয় বার ধরা পড়লে এক বছর সাসপেন্ড
• তৃতীয় বার ধরা পড়লে তিন বছর সাসপেন্ড
• চতুর্থবার ধরা পড়লে বরখাস্ত, লাইসেন্স বাতিল

কলকাতা সহ দেশের ১০টি বিমানবন্দরে এই পরীক্ষা শুরু হবে ৩০ অক্টোবর। বাগডোগরা সহ দেশের ৩৩টি বিমানবন্দরে শুরু হবে এক মাস পরে।

কিন্তু এত বিশাল সংখ্যক কর্মীর বিএ পরীক্ষা কী করে সম্ভব? ডিজিসিএ-র নির্দেশ, ৩০ অক্টোবরের পর থেকে প্রতিদিন বিমান পরিবহণের কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কর্মীদের ১০ শতাংশ-এর উপরে এই পরীক্ষা চালাতে হবে। সেই কর্মীরা যখন অফিসে ঢুকবেন তখন তাঁদের সেই পরীক্ষা করা হবে। যদি প্রথম বার কেউ পরীক্ষায় ফেল করেন, তা হলে তাঁকে মুখ ধুয়ে এসে, চোখে-মুখে জল দিয়ে দ্বিতীয় বার পরীক্ষা করানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও যদি কেউ ফেল করেন বা পরীক্ষা করাতে অস্বীকার করেন, তা হলে তাঁর লাইসেন্স তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বার একই অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ বাড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন