ক্রিশ্চিয়ান মিশেল। ফাইল চিত্র
অগুস্তা হেলিকপ্টার ঘুষ কাণ্ডে অভিযুক্ত অন্যতম মধ্যস্থতাকারী ক্রিশ্চিয়ান মিশেলের হয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হল ব্রিটিশ আইনজীবীদের একটি দল। তাদের অভিযোগ, বেআইনি ভাবে দুবাই থেকে এনে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৫৭ বছরের এই ব্রিটিশ নাগরিককে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আটকে রেখে তাঁকে জেরা করা হচ্ছে বলেও দাবি তাদের। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকারের জবাব চেয়ে পাঠিয়ে তার ভিত্তিতে রায় দিতে পারে রাষ্ট্রপুঞ্জের সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তবে ওই রায় মানার ক্ষেত্রে সরকারের আইনি বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
ইডি এবং সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারের পরে মিশেল আপাতত রয়েছেন তিহাড় জেলে। লন্ডনের ‘গ্যেরনিকা ৩৭ ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস চেম্বার’-এর দাবি, গত বছর আমিরশাহির রাজকন্যা শেখ লতিফা যখন রহস্যজনক ভাবে ভারতে চলে গিয়েছিলেন, তখন তাঁকে দেশে ফিরিয়েছিল ভারত সরকার। এর পাল্টা হিসেবে আইনি পথে প্রত্যর্পণের তোয়াক্কা না-করে স্রেফ একটা লেনদেনের মতোই মিশেলকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে ব্যক্তিগত জেটে তাঁকে নিয়ে আসা হয় ভারতে।
ব্রিটিশ আইনজীবীদের দাবি, এর পরেও চাপ দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করতে মিশেলকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁকে বারবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিবিআই এবং ইডি-র এই দুর্ব্যবহার অত্যাচারেও গড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার, বেআইনি ভাবে আটকের ঘটনা বিষয়ক গোষ্ঠী এবং অত্যাচার ও নৃশংসতার অভিযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ মধ্যস্থতাকারীকে জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করেছে তারা। ভারতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। সেই সঙ্গে মিশেলের রেহাই ও তাঁকে নির্দোষ সাব্যস্ত করার বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে ব্রিটিশ আইনজীবী দলটি।