(বাঁদিকে) কিয়ের স্টার্মার এবং নরেন্দ্র মোদী (ডানদিকে)। ছবি: পিটিআই।
ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে ওই বৈঠকের পরে তাঁরা দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে শিল্প ও বাণিজ্যমহলের শীর্ষকর্তা এবং উদ্যোগপতিদের সম্মেলনে যোগ দিলেন এক সঙ্গে।
মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরে স্টার্মার বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করতে চান। আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই। ২০৪৭ সালের মধ্যে আপনার বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।” সম্প্রতি শুল্কযুদ্ধে আবহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই সঙ্গে মোদীর উদ্বেগে সায় দিয়ে স্টার্মার জানিয়েছেন, ব্রিটেনের মাটিতে খলিস্তানপন্থী জঙ্গিদের ভারতবিরোধী কার্যকলাপ বরদাস্ত করবে না তাঁর সরকার।
বুধবার ভারত সফরে মুম্বই এসে পৌঁছন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়র স্টার্মার। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর। দু’দিনের সফরে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক জোরদার করা তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। গত জুলাই মাসে দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্যচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। এই পদক্ষেপ আর্থিক দিক থেকে শক্তিশালী করবে এবং সেই সঙ্গে দু’দেশে কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
মুম্বইয়ে দু’দেশের দেড়শোর বেশি উদ্যোগপতির সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘এর ফলে উভয় দেশের আমদানি ব্যয় হ্রাস পাবে। উৎপাদক এবং উপভোক্তা উভয়ই উপকৃত হবেন। সেই সঙ্গে যুবসমাজও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।’’ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি এবং স্টার্মারের এ বারের ভারত সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেছেন মোদী। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে নয়াদিল্লি-লন্ডন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানা ক্ষেত্রের পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। স্টার্মার বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী (মোদী) এবং আমি ইউক্রেনে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির প্রয়োজনীয়তা, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছি।’’