হরিয়ানার মডেল শীতল চৌধরি। —ফাইল চিত্র।
দু’দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর সোমবার সকালে হরিয়ানার সোনিপতে একটি খাল থেকে উদ্ধার হয় নেটপ্রভাবী শীতল সিম্মি চৌধুরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। ২৪ বছর বয়সি নেটপ্রভাবীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তদন্তে নামে পুলিশ। এ বার সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল।
সোমবার সন্ধ্যায় হরিয়ানার পানিপত থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা ডানিয়েছেন, ধৃতের নাম সুনীল কুমার। ইসরানার বাসিন্দা সুনীলের সঙ্গে গত পাঁচ বছর ধরে ‘বন্ধুত্ব’ ছিল শীতলের। শীতলের বিয়ে হয়েছিল আগেই। বছরখানেক পর বিবাহবিচ্ছেদও হয়ে যায়। অন্য দিকে, সুনীলও বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু পরিবার ছেড়ে আলাদা থাকতেন তিনিও। সুনীল যে বিবাহিত, সে কথা জানতেন না শীতল। ক্রমে দু’জনের বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়ে ওঠে। সমাজমাধ্যমে শীতলের একাধিক ভিডিয়োতেও সুনীলকে দেখা গিয়েছে। দু’জনে প্রায়ই একসঙ্গে সময় কাটাতেন।
সোমবার পানিপত এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ভিডিয়োতেও শেষবার সুনীলের সঙ্গেই দেখা গিয়েছে শীতলকে। এর পর দু’জনকে একসঙ্গে একটি গাড়িতে উঠতে দেখা যায়। শীতলের দেহ যে খালে মেলে, একই খাল থেকে উদ্ধার হয়েছিল সেই গাড়িটিও। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, তদন্তে জানা যায়, গাড়িটির মালিক আর কেউ নন, সুনীল নিজেই। এর পরেই সুনীলের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে শীতলকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সুনীল। জানিয়েছেন, প্রেমিকাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করেছেন তিনিই।
শীতল নামে ওই নেটপ্রভাবী তাঁর বোনের সঙ্গে পানিপতে থাকতেন। নানা গানের ভিডিয়োতে মডেল হিসাবে কাজ করতেন তিনি। সমাজমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন বছর ২৪-এর এই ইনফ্লুয়েন্সার। গত ১৪ জুন একটি শুটিংয়ের কাজে আহর গ্রামে গিয়েছিলেন শীতল। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। ১৫ তারিখ শীতলের দিদি মাতলাউদা থানায় বোনের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর দিনই খারখোদার কাছে একটি খাল থেকে উদ্ধার হয় শীতলের দেহ।