Crime News

নির্যাতিতার ভাইয়ের রহস্যমৃত্যু! দলিত কন্যার পরিবারকে লাগাতার হুমকি, তার পরেই কি খুন?

পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। কিন্তু অভিযোগ প্রথমে নিতেই চায়নি পুলিশ। প্রায় এক মাস পর থানায় এফআইআর নেওয়া হয়। তার পর থেকেই নাকি পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৭
Share:

২০ বছরের যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার গাছ থেকে। প্রতীকী ছবি।

দলিত কন্যার ধর্ষণের পর তাঁর ভাইয়ের রহস্যমৃত্যুর অভিযোগ। ধর্ষণে অভিযুক্তেরাই ওই যুবককে খুন করেছেন বলে দাবি পরিবারের। বছর কুড়ির ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে গাছ থেকে।

Advertisement

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ভবনপুরের ঔরঙ্গাবাদ গ্রামের। অভিযোগ, সেই গ্রামের এক দলিত কন্যাকে মাস ছ’য়েক আগে গণধর্ষণ করা হয়। গ্রামেরই এক স্বঘোষিত প্রধানের স্বামী-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা।

অভিযোগ, প্রথমে নিতেই চায়নি পুলিশ, দাবি পরিবারের। প্রায় এক মাস পর থানায় এফআইআর নেওয়া হয়। অভিযোগ, তার পর থেকেই পরিবারের উপর চাপ দিতে থাকেন অভিযুক্তেরা। তাঁদের ভয় দেখানো হয়, ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয়। নির্যাতিতার বাবা জানান, অভিযোগ তুলে না নিলে তার ফল ভুগতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।

Advertisement

স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালক রবিকান্ত এই পরিবারের পাশে ছিলেন প্রথম থেকে। তিনি জানিয়েছেন, গণধর্ষণের অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিশ। তাতে মাস খানেক দেরি করা হয়েছিল। এ বার নির্যাতিতার ভাইয়ের মৃত্যুর পরেও পুলিশ অভিযোগ নিতে চাইছে না। এ বিষয়ে তিনি জাতীয় তফসিলি জাতি ও উপজাতি কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন।

মৃতের পরিবারের দাবি, যাঁরা তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলেন, তাঁরাই ছেলেকেও মেরে ফেলেছেন। খুনের পর গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর দেহ। অভিযুক্তদের দু’জনের বিরুদ্ধে এর আগেও অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের খাতায় আগে থেকেই রয়েছে তাঁদের নাম।

এ দিকে, ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার অরবিন্দ চৌরাসিয়া জানিয়েছেন, অভিযোগ দায়েরের সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা-সহ পকসো এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দু’জন অভিযুক্ত হাজতবাস করছেন। তৃতীয় অভিযুক্ত সম্প্রতি জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু হাই কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন