তেজ বাহাদুর যাদব। ফাইল চিত্র।
বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুরকে মনে আছে? জওয়ানদের দেওয়া খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাতারাতি খবরের শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয় তাঁর সেই ভিডিয়ো। অনুশাসনহীনতার জন্য তাঁকে কাজ থেকে বহিষ্কারও করা হয়। সেই তেজ বাহাদুরেরই ছেলের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করল পুলিশ।
হরিয়ানার রেওয়ারিতে তেজ বাহাদুরের বাড়ি থেকেই তাঁর ছেলে রোহিতের দেহ উদ্ধার হয়। ২১ বছরের রোহিত কুমার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ফোন করে রোহিতের আত্মহত্যার খবর দেন এক জন। খবর পেয়েই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু ঘর ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই দেখা যায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন রোহিত। চার দিকে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আর তাঁর হাতে ধরা ছিল একটা রিভলভারের।
সপরিবারে বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর। ছেলে রোহিত কুমার ( বাঁ দিক থেকে প্রথমে)। ফাইল চিত্র।
আরও পড়ুন: ফসল চাঁদের মাটিতে? রহস্যের জট খোলেনি, বলছেন নাসার বিজ্ঞানী
ঘটনার সময়ে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তেজ বাহাদুর সিংহ প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় গিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী শর্মিলা কাজের সূত্রে বাইরে গিয়েছিলেন। শর্মিলার দাবি, বাড়িতে ফিরে এসে তিনি দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। ছেলেকে ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়াশব্দ পাননি। প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান তিনি। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে রোহিতের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতদৃষ্টিতে এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পুলিশ ঘটনাটিতে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও রোহিত কুমারের মা শর্মিলাদেবী পুলিশের সেটা মানতে চাননি।
আরও পড়ুন: আস্থা নেই মোদী সরকারে, মন্দির নির্মাণে নয়া সময়সীমা বেঁধে দিল সঙ্ঘ
তেজ বাহাদুর সিংহ ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বিএসএফের খাবার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো আপলোড করে প্রশ্ন তুলেছিলেন। হরিয়ানার মহেন্দ্রগড় জেলার রাতা গ্রামের বাসিন্দা তেজ বাহাদুর বর্তমানে রেওয়ারি শহরের মডেল টাউন থানার সরস্বতী বিহার কলোনি এলাকায় থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে, তেজ বাহাদুর উত্তরপ্রদেশে কুম্ভমেলায় রয়েছেন। তাঁকে ছেলের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)