মায়াবাতী
উনিশের নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলিত নেত্রী মায়াবাতীকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে বিতর্ক এবং রহস্য। শেষ পর্যন্ত তিনি কোন দিকে যাবেন তা নিয়ে এখনও ধন্দে শাসক এবং বিরোধী জোট। আজ সেই বিতর্ক আরও উস্কে তিনি দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করার জন্য এন়ডিএ এবং আগের ইউপিএ— দুই সরকারকেই সমান দায়ী করলেন। তিনি জানালেন, মোদী সরকার মুষ্টিমেয় কয়েক জন শিল্পপতি ছাড়া দেশের কোনও মানুষের স্বার্থ দেখে না। কংগ্রেস ও এসপি-র সঙ্গে জোটে পর্যাপ্ত আসন না-পেলে বিএসপি একার শক্তিতেই লোকসভা নির্বাচনে লড়বে বলে এ দিন ঘোষণা করেছেন মায়া।
উত্তরপ্রদেশের ভীম আর্মি দলের সভাপতি তথা দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদকেও এ দিন আক্রমণ করেন মায়াবতী। লখনউয়ে তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পাওয়া এক জন আমাকে বুয়া বলে ডাকতে চেষ্টা করছে। যারা হিংসার জন্য জেলে যায় এবং বিএসপি-র বিরুদ্ধে কৌশলের অংশ হিসাবে ছাড়া পায়, তাদের সঙ্গে আমার দল নেই।’’
গত বছর মে মাসে সাবিরপুর গ্রামে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন দলিত নেতা চন্দ্রশেখর। তাঁকে ছেড়ে দিয়ে আসলে ভোটের আগে মায়াবাতীর উপর চাপ তৈরি করতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই অভিযোগ আজ মায়াও করেছেন। জেল থেকে বেরিয়েই রাজ্যের শীর্ষ বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন চন্দ্রশেখর। চাইছেন দলিত প্রশ্নে নিজেকেও তুলে ধরতে। এর ফলে দলিত ভোট ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে বিএসপি।
মায়াবতী বলেছেন, ‘‘আসন্ন নির্বাচনে জোট গড়তে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সম্মানজনক আসন দিলে তবেই সমঝোতার কথা ভাবব। নয়তো একলাই লড়ব।’’ তাঁর কথায়, ‘‘দলিত সমাজ জানে বিজেপির মনোভাব। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে লাঠির আঘাতে ভাঙতে চাইছে তারা।’’
বিজেপি চন্দ্রশেখরকে ব্যবহার করার যে কৌশল নিয়েছে তা ঝেড়ে ফেলতেই দলিত স্বার্থের এক এবং অভিন্ন দল হিসাবে বিএসপি-কে তুলে ধরছেন মায়াবতী। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে বিতর্ক বাড়াতে চাননি এস পি নেতা অখিলেশ যাদব অথবা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। কারণ তাঁরা চাইছেন যে ভাবেই হোক উনিশের ভোটে উত্তরপ্রদেশ এবং চলতি বছরের মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভা ভোটে মায়াকে পাশে রাখার।