National News

বুলন্দশহর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত নেতাকে পুলিশে দিল বজরং দল

সিয়ানা থানার সার্কেল ইনস্পেক্টর রাঘবেন্দ্র কুমার মিশ্র সংবাদ সংস্থা জানিয়েছেন, যোগেশ রাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:২৩
Share:

পুলিশের জিম্মায় যোগেশ রাজ।

বুলন্দশহরে পুলিশ অফিসার সুবোধ কুমার সিংহ হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত যোগেশ রাজ বজরং দলের সদস্য। তবে পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বজরং দলের নেতারাই যোগেশকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই যোগেশই পুলিশের কাছে গোহত্যার অভিযোগ দায়ের করেছিল। গত ৩ ডিসেম্বর ঘটনার দিন বিক্ষোভের নেতৃত্বেও ছিল সে। ধৃত যোগেশ বজরং দলের জেলা স্তরের নেতা।

Advertisement

গত তিন ডিসেম্বর গো-হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বুলন্দশহর। সেই গণ্ডগোল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েছিলেন সিয়ানা থানার স্টেশন হাউস অফিসার সুবোধ কুমার সিংহ। তাঁকে কুপিয়ে এবং গুলি করে খুন করে উত্তেজিত জনতা। ওই ঘটনায় আরও এক স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই ফেরার ছিল যোগেশ। এমনকি, বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে ভিডিয়ো ছড়াচ্ছিল বলেও অভিযোগ। তার খোঁজ চলছিল। কিন্তু পুলিশ নাগালপাচ্ছিল না। অবশেষে ঘটনার এক মাস পর বুধবার রাতে বজরং দলের নেতৃত্বই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

সিয়ানা থানার সার্কেল ইনস্পেক্টর রাঘবেন্দ্র কুমার মিশ্র সংবাদ সংস্থা জানিয়েছেন, যোগেশ রাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত তিন ডিসেম্বর স্থানীয় থানায় পাঁচটি গরু হত্যার অভিযোগ করেন এই যোগেশ রাজ। একটি জঙ্গলে পাঁচটি গরুর দেহাবশেষ উদ্ধার হওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের ডাকে ওই দিনই বুলন্দশহরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। সেই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে গিয়েই খুন হন সুবোধ কুমার সিংহ।

আরও পড়ুন: তর্কে গিয়ে রাফালের দাম বললেন জেটলি!

কিন্তু পুলিশ খুনে অভিযুক্তের চেয়েও গো-হত্যাকারীদের ধরতে বেশি তৎপরতার অভিযোগ ওঠে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একটি নিরাপত্তা বৈঠকেও গো-হত্যাকারীদের ধরতে কড়া নির্দেশ দেন। সেই মতো মুসলিম সম্প্রদায়ের পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। কিন্তু পরে তথ্যপ্রমাণের অভাবে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: খড়দহে মহিলাকে রাস্তা থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ

তবে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ অফিসার হত্যাকাণ্ডে ৩০ জনকে গ্রেফতার করে। এর পর ১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সুবোধ কুমারকে কুড়ুল দিয়ে হাতের আঙুল কেটে নেওয়ায় মূল অভিযুক্ত কালুয়াকে ধরে পুলিশ। তার আগে ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের জালে পড়ে প্রশান্ত নাট। সে-ই সুবোধ কুমারকে গুলি করে বলে অভিযোগ। আরেক অভিযুক্ত সেনাকর্মী জিতেন্দ্র মালিক গ্রেফতার হয় ৯ ডিসেম্বর।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement