—প্রতীকী চিত্র।
দৌড় থামছে না সোনা-রুপোর দামের। শুক্রবার কলকাতার বাজারে সোনা এগোল আরও ১০০০ টাকা। পাল্লা দিয়ে রুপো দামি হল আরও ৭৮০০ টাকা। যার হাত ধরে ফের তৈরি হল ধাতু দু’টির দামের নতুন নজির।
এ দিন খুচরো পাকা সোনার (১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট) দাম দাঁড়িয়েছে ১,৩৮,৮০০ টাকা। জিএসটি যোগ করে ১,৪২,৯৬৪ টাকা। গয়নার হলমার্ক সোনাও ১,৩১,৯৫০ টাকায় পৌঁছেছে। কর নিয়ে তা ১,৩৫,৯০৮.৫ টাকা। আবার এক কেজি খুচরো রুপোর দাম দিনের শেষে থিতু হয়েছে ২,২৯,৩০০ টাকায়। কর নিয়ে দাঁড়িয়েছে ২,৩৬,১৭৯ টাকা। রুপোর বাট হল ২,২৯,২০০ টাকা। জিএসটি-র হিসাব কষলে ২,৩৬,০৭৬ টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, বছরের শুরুতেও কলকাতায় খুচরো পাকা সোনা ছিল ৭৭,১৫০ টাকা। সোনার গয়না ৭৩,৩০০ টাকা। সেখান থেকে দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৬১,৬৫০ টাকা এবং ৫৮,৬৫০ টাকা। রুপোর বৃদ্ধি তো সেখানে আরও অনেক বেশি। খুচরো রুপো ৮৬,৩৫০ টাকা থেকে বেড়েছে ১,৪২,৯৫০ টাকা। অনেকেই বলছেন, এ বছর এখনও চার দিনের লেনদেন বাকি। ফলে ২০২৫ সালেই খুচরো পাকা সোনার দাম ১.৫ লক্ষ ও খুচরো রুপো ২.৫ লক্ষ টাকা পেরোবে কি না, চর্চা চলছে তা নিয়ে। বিশেষত, যখন ন’দিনেই রুপোর বৃদ্ধি প্রায় ৩০,০০০ টাকা। সোনার ৫৮০০ টাকা।
বাজার মহলের মতে, সোনার চড়া দামের কারণে তার বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ রুপোর দিকে ঝুঁকছিলেন। তার উপরে লগ্নিকারীদের একাংশও এখন সুরক্ষিত গন্তব্য হিসেবে সোনা-রুপোর মতো ধাতুকে বেছে নিচ্ছেন। তাঁরা টাকা ঢালছেন পণ্য বাজার, এক্সচঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ)। মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থাগুলিও এতে পুঁজি ঢালছে। আবার বৈদ্যুতিক গাড়ি, সোলার প্যানেল, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম-সহ বিভিন্ন শিল্পে রুপোর ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়া বছরের শেষে ঠেলে তুলেছে ধাতুটির দামকে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ন মার্চেন্টস অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দীনেশ কাবরার আবার বক্তব্য, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে এখনও দিশা মিলছে না। এতে সোনাকেই আঁকড়ে ধরছেন লগ্নিকারীরা। ফলে তার দাম বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে মাথা তুলছে রুপো, প্ল্যাটিনাম, তামার মতো ধাতু। উপরন্তু রুপোর চাহিদা ও জোগানের মধ্যে বিশাল তফাত দেখা যাচ্ছে। তা ছাড়া শুক্রবার বিশ্ব বাজারে সোনা-রুপোর দাম আউন্সে নজির গড়ে পৌঁছেছে যথাক্রমে ৪৫৩০.৪২ ডলার এবং ৭৫.৬৩ ডলারে। এর সবেরই প্রভাব পড়েছে ভারতে। তবে আগামী দিনে সংশোধনের সম্ভানাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে। তবে তাঁদের বক্তব্য, সাময়িক ভাবে দাম নামলেও, দীর্ঘ মেয়াদে তা উপরের দিকেই থাকবে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে