বিহারে এখন তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, বিরোধীরা তাঁকে ‘কল ড্রপ মিনিস্টার’ বলে ডাকছেন। কংগ্রেস তো তাঁর মন্ত্রিত্বকেই ‘ড্রপ’ করার দাবি করে বসেছে। তার উপর দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীও ধমক দিয়েছেন একপ্রস্ত।
এই অবস্থায় আজ যাবতীয় তথ্য সাবুদ নিয়ে হাজির হলেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। বললেন, ‘‘তিন মাসে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত সবুর করুন। তত দিনে পরিস্থিতি আরও খানিকটা শুধরে যাবে।’’ কিন্তু মোবাইলের কল ড্রপ নিয়ে দেশ জুড়ে গ্রাহকরা এখন নাজেহাল। তার উপর সামনে বিহারে ভোট। বিরোধী পক্ষ তো সেখানে এটাকেই রাজনৈতিক বিষয় বানিয়ে নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের বেলুন চুপসে দিতে চাইছে। আর এই সব কিছুর মধ্যে পড়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন রবিশঙ্কর।
কিন্তু কল ড্রপের সমস্যা মোকাবিলা করতে সরকার কী করছে?
রবিশঙ্কর জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই সরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত সেলগুলির মেরামতি শুরু করেছে। সিংহভাগ কাজ শেষ। বেসরকারি সংস্থাগুলি দাবি করেছে, তাদের কাজও শেষের মুখে। কিন্তু সরকার নিজে সমীক্ষা করে দেখবে, সে দাবি যথার্থ কি না। সরকার ইতিমধ্যেই কল ড্রপ রুখতে স্পেকট্রাম বাণিজ্য নিয়ে নীতি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে বাড়তি স্পেকট্রাম অন্য কোনও সংস্থা কিনে ব্যবহার করতে পারবে। এই কাজ অক্টোবরে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
তবে শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাইছে না সরকার। ট্রাই একটি সুপারিশ পাঠাতে চলেছে, যেখানে গ্রাহকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কল ড্রপের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থাও চালু হতে পারে। পাশাপাশি কল ড্রপ না হলে উৎসাহ ভাতা,
আর হলে জরিমানার ব্যবস্থাওকরা যেতে পারে।