Plane Crash in Ahmedabad

‘সব ছেড়ে তোমার দেখাশোনা করব বাবা’, নবতিপর বৃদ্ধকে কথা দিয়ে এসেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট, ফেরা হল না

৫৫ বছরের সুমিত মুম্বইয়ের বাড়িতে বাবার সঙ্গে একাই থাকতেন। বিয়ে করেননি। চাকরি ছেড়ে বাকি সময়টুকু বাবার সঙ্গেই কাটিয়ে দেবেন ভেবেছিলেন। বাবাকে তেমন কথাও দিয়ে এসেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫ ১৩:২৭
Share:

(বাঁ দিকে) এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের পাইলট ক্যাপটেন সুমিত সভরওয়াল। অহমদাবাদে ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আর চাকরি করবেন না। এ বার চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাবার সঙ্গে থাকবেন দিনরাত। তাঁর দেখাশোনা করবেন। নিজের সমস্ত সময়টুকু বাবাকে দেবেন। নবতিপর বৃদ্ধকে এমনটাই কথা দিয়ে এসেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট ক্যাপটেন সুমিত সভরওয়াল। তাঁর বাবাও বিমান পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র প্রাক্তন আধিকারিক ছিলেন সুমিতের বাবা। এখন বয়স ৯০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। বাবাকে সময় দিতে চাকরি ছাড়ার কথা ভেবেছিলেন সুমিত। অহমদাবাদের দুর্ঘটনার পর তাঁর প্রতিবেশীরা সংবাদমাধ্যমকে সে কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

৫৫ বছরের সুমিত মুম্বইয়ের বাড়িতে বাবার সঙ্গে একাই থাকতেন। বিয়ে করেননি। তাঁর এক প্রতিবেশী বলেছেন, ‘‘বাবার জন্য খুব চিন্তা করতেন সুমিত। যখনই বাইরে যেতেন, আমাদের বলে যেতেন ওঁর বাবার খেয়াল রাখতে। ওঁর মৃত্যুর খবরে ওঁর বাবা বিধ্বস্ত।’’ মুম্বইয়ে সুমিতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন শিবসেনা বিধায়ক দিলীপ লান্ডে। তিনি বলেছেন, ‘‘কিছু দিন আগেই সুমিত বাবাকে বলেছিলেন, তিনি চাকরি ছেড়ে দেবেন। বাবাকে দেখবেন। বাবাকে তেমনই কথা দিয়েছিলেন।’’

৮৩০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল সুমিতের। এয়ার ইন্ডিয়ার লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি। বিমানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলির খোঁজখবর নেওয়াও ছিল তাঁর অন্যতম দায়িত্ব। বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ বিমানের প্রধান পাইলট ছিলেন সুমিত। বিমান মাটি ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে (এটিসি) বিপদবার্তা (মে ডে কল) পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর আর বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বিমানবন্দরের সামনেই বসত এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়ে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সুমিতের সঙ্গে দ্বিতীয় পাইলট হিসাবে ছিলেন ২৮ বছরের ক্লাইভ কুন্দর। বলিউড অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসের পরিচিত তিনি।

Advertisement

অহমদাবাদের দুর্ঘটনায় ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বিমানবন্দর ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে বিমানটি নিকটবর্তী ডাক্তারদের হস্টেল ভবনে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে। নির্দিষ্ট উচ্চতায় ওই বিমান উঠতেই পারেনি। বিমানে ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী-সহ ২৪২ জন। এক জন ছাড়া বাকি সকলের মৃত্যু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement