Plane Crash in Ahmedabad

‘তীব্র ধাক্কায় সিটটা খুলে এল’, কী করেছিলেন দুর্ঘটনার মুহূর্তে? কোথা দিয়ে কী ভাবে বেরিয়ে এলেন? জানালেন রমেশ

৪০ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ ২০০৩ সাল থেকে ব্রিটেনে থাকেন। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানেরা সেখানেই রয়েছেন। রমেশ ভারতে এসেছিলেন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫ ১১:৫৮
Share:

অহমদাহাদ সিভিল হাসপাতালে দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ। ছবি: সংগৃহীত।

তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেছিলেন। তার পর তাঁর আসন খুলে বেরিয়ে এসেছিল। সেই কারণেই তিনি বেঁচে গিয়েছেন। মনে করছেন অহমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ। শুক্রবার সকালে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তেমনটাই জানালেন তিনি। কোন দিক থেকে কী ভাবে বেরিয়ে এসেছিলেন, বিমান কী ভাবে ভেঙে পড়ল, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

৪০ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ ২০০৩ সাল থেকে ব্রিটেনে থাকেন। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানেরা সেখানেই রয়েছেন। রমেশ ভারতে এসেছিলেন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁর সঙ্গে বৃহস্পতিবার লন্ডনে ফিরছিলেন তাঁর ভাইও। তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। রমেশ জানিয়েছেন, বিমানের অন্য দিকের আসনে জায়গা পেয়েছিলেন তাঁর ভাই। তাঁর কোনও খোঁজ পাননি এখনও।

হাসপাতাল থেকে রমেশ বৃহস্পতিবারই বলেছেন, ‘‘বিমান ওড়ার মাত্র ৩০ সেকেন্ড পর একটা প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। তার পরেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। সব কিছু খুব দ্রুত ঘটে গিয়েছিল।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি যখন উঠে দাঁড়াই, আমার চারপাশে শুধু লাশ আর লাশ। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। উঠেই আমি দৌড়তে শুরু করি। আমার চারপাশে বিমানের অনেক টুকরো দেখতে পেয়েছিলাম। তার পর কেউ আমাকে টেনে ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলল। আমি হাসপাতালে চলে এলাম।’’ শুক্রবার সকালে রমেশ অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ডাক্তারদের জানিয়েছেন, তাঁর আসনটি খুলে বেরিয়ে এসেছিল। সেই কারণে হয়তো তিনি বাঁচতে পেরেছেন। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রমেশ বলেন, ‘‘গোটা বিমান ভেঙে পড়ল। হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনিতে আমার সিটটা খুলে এসেছিল। তাই হয়তো আমি বেঁচে গেলাম।’’ সংবাদমাধ্যমকে রমেশ বলেছেন, ‘‘আমি যে দিকে পড়েছিলাম, সেখানে হস্টেলের একতলার ফাঁকা জায়গা ছিল কিছুটা। সেখান দিয়ে আমি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু উল্টোদিকে হস্টেলের দেওয়াল ছিল। সে দিক থেকে হয়তো কেউ বেরোতে পারেনি। আমার বাঁ হাত একটু পুড়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ বিমানের ইকোনমি ক্লাসের ১১এ আসনে বসেছিলেন রমেশ। তাঁর আসনটি ছিল আপৎকালীন দরজার কাছেই। কিন্তু কী ভাবে বিমান থেকে বাইরে বেরিয়েছেন, বলতে পারেননি রমেশ। অহমদাবাদের দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যেখানে বিমানটি ধাক্কা খেয়েছিল, সেটি ডাক্তারদের একটি হস্টেল। ডাক্তারি পড়ুয়ারা তখন খাবার খাচ্ছিলেন। আচমকা বিমান এসে আছড়ে পড়ে, ঢুকে যায় বিল্ডিংয়ের ভিতর। বসত এলাকায় দুর্ঘটনার ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানের বহু দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। তা শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ওই বিমানে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫২ জন ব্রিটিশ, সাত জন পর্তুগিজ এবং এক জন কানাডিয়ান নাগরিক। গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী এই বিমানেই লন্ডনে যাচ্ছিলেন। তাঁরও মৃত্যু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement