Advertisement
E-Paper

‘চারদিকে দেহ পড়ে, ভয় পেয়ে পালাতে শুরু করেছিলাম’! আর কী বললেন বিমান দুর্ঘটনায় জীবিত একমাত্র যাত্রী

অহমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় তিনিই একমাত্র যাত্রী, যিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বাসকুমার রমেশ নামে ওই যাত্রী জানালেন, এয়ার বিমানটি ওড়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৫ ২২:২৭
বিশ্বাসকুমার রমেশ।

বিশ্বাসকুমার রমেশ। ছবি: সংগৃহীত।

অহমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় তিনিই একমাত্র যাত্রী, যিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বাসকুমার রমেশ নামে ওই যাত্রী জানালেন, এয়ার বিমানটি ওড়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে। একটা জোরালো শব্দ হয়। তার পরেই বিমানটি ভেঙে পড়েছিল।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, বিমান দুর্ঘটনায় সম্ভবত সকল আরোহীই নিহত। কিন্তু সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে অহমদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএ মালিক জানান, এক জন জীবিত রয়েছেন। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পেয়েছে। ১১এ আসনের ওই যাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর চিকিৎসা চলছে।

সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইম্‌সকে ওই যাত্রী বলেন, ‘‘সব কিছু এত তাড়াতাড়ি ঘটেছিল, বুঝতেই পারিনি। যখন জ্ঞান ফেরে, উঠে দেখি, চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে লাশ। ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। উঠে দাঁড়ানোর পরেই পালাতে শুরু করেছিলাম আমি। সেই সময় কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেন। তার পর ওই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’’

গুজরাতে অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরুর পাঁচ মিনিট পরেই ভেঙে পড়েছে লন্ডনগামী বিমানটি। অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিমানটিতে ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন বিমানকর্মী। ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (সেটির সত্যতা আনন্দবাজার ডট কম যাচাই করেনি)। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ওড়ার কিছু ক্ষণ পরেই বিমানের লেজের অংশটি নীচের দিকে নামতে নামতে হঠাৎ মাটিতে ভেঙে পড়ে। বিমানটি ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দর চত্বরের মধ্যেই। ঠিক তার পাশেই মেঘানিনগর এলাকা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু। তিনি জানিয়েছিলেন, বিমানের সকল আরোহীই নিহত দুর্ঘটনায়। ঠিক তার পরেই সংবাদ সংস্থা এএনআই অহমদাবাদের সিপিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গোটা ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন এক জনই। সিপি বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। যেহেতু লোকালয়ে বিমান ভেঙে পড়েছে, তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’’

রয়টার্সকে অহমদাবাদ পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, শহরের একটি হাসপাতালে অন্তত ১০০টি দেহ ইতিমধ্যেই আনা হয়েছে।

বিমানটি যে বহুতলে ভেঙে পড়েছে, সেটি ছিল বিজে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের হস্টেল। স্থানীয়দের দাবি, ওই হস্টেলে থাকেন ৫০ জন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ায় ওই হস্টেলের পাঁচ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।

Plane Crash Air India
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy