শিবির গড়তেই আসে পাক জঙ্গি

জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করতে সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করেছিল সাজ্জাদ। এ কাজে তাকে বেছে নিয়েছিল লস্কর-ই-তইবা। আজ সেনাবাহিনীর জেরার মুখে এ কথাই জানিয়েছে ধৃত পাক জঙ্গি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৫ ০৩:০৯
Share:

জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করতে সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করেছিল সাজ্জাদ। এ কাজে তাকে বেছে নিয়েছিল লস্কর-ই-তইবা। আজ সেনাবাহিনীর জেরার মুখে এ কথাই জানিয়েছে ধৃত পাক জঙ্গি।

Advertisement

সাজ্জাদ আরও বলে, ‘‘রাফিয়াবাদে লস্কর-ই-তইবার প্রভাব-প্রতিপত্তি কমেছে। কায়াম নাজ্জার নামে স্থানীয় এক জঙ্গি নেতা সম্প্রতি হিজবুল মুজাহিদিন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে আলাদা জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করায় উত্তর কাশ্মীরে লস্করের প্রভাব কমেছে।’’ তাই নতুন করে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতেই সাজ্জাদ-সহ আরও চার জনকে কাশ্মীরে পাঠায় লস্কর-ই-তইবা।

তবে সেনা সূত্রে খবর, এ বারই প্রথম নয়। আগেও বেশ কয়েক বার কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজর এড়িয়ে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়।

Advertisement

সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ২০১২ সালে লস্কর-ই-তইবায় নাম লেখায় সাজ্জাদ। তার আগে ২৬/১১ মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম মূল চক্রী হাফিজ সইদের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। পড়াশোনা চতুর্থ শ্রেণির গণ্ডি পর্যন্ত। জেরায় সাজ্জাদ জানিয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠীতে নাম লেখানোর পর রীতিমতো তিন ধাপে প্রশিক্ষণ নেয় সে। ‘দৌরা-এ-আম’, ‘দৌরা-এ-খাস’ আর তার পর ‘দৌরা-এ-সুফা’। প্রথম ধাপটিতে ২১ দিনের ‘কোর্স’। ছোটখাটো অস্ত্র চালানো, গ্রেনেড ছোড়া— এই সব শেখানো হয় এই অংশে। তার পর ‘দৌরা-এ-খাস’-এ শিক্ষা দেওয়া হয় রকেট লঞ্চার, একে-৪৭ চালানো। সেই সঙ্গে বিস্ফোরক বানানো। সব ধরনের অস্ত্র চালানোয় হাত পাকা হলে তৃতীয় ধাপ। তাতে শেখানো হয় মগজ ধোলাই-এর পাঠ। কী করে নতুন ছেলেদের জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত করা যায়।

এখন কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের কারণ সম্পর্কে কতটা সত্যি বলেছে সাজ্জাদ, সেটাই যাচাই করে দেখছেন গোয়েন্দারা। ধৃত আর এক পাক জঙ্গি নাভেদ আগে জানিয়েছিল, কাশ্মীরে সন্ত্রাস জারি রাখার বার্তা দিয়েছে হাফিজ সইদ। তারই নির্দেশে সীমান্ত পেরোনোর অপেক্ষায় রয়েছে বহু জঙ্গি। উদ্দেশ্য কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গি শিবির তৈরি করা। তার পর বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও জঙ্গি কার্যকলাপ বজায় রাখা ভূস্বর্গে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন