Punjab Bribe Case

পাঁচ কোটি নগদ, দামি ঘড়ি, অডি-মার্সিডিজ়, দেড় কেজি সোনা! ঘুষ মামলায় সিবিআইয়ের জালে পঞ্জাব পুলিশের ডিআইজি

ঘুষ চাওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তদন্তের সূত্রপাত। তদন্তে ফাঁস হয়েছে দুর্নীতির জাল। তদন্তের সূত্র ধরে পঞ্জাবের রোপার রেঞ্জের ডিআইজি হরচরণ সিংহ ভুল্লারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৩৩
Share:

(বাঁ দিকে) উদ্ধার হওয়া টাকা এবং পঞ্জাব পুলিশের ডিআইজি হরচরণ সিংহ ভুল্লার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

পাঁচ কোটি নগদ, গ্যারাজে অডি, মার্সিডিজ়, ড্রয়ারে সাজানো দামি দামি ঘড়ি! পঞ্জাবের এক আইপিএস অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে হতবাক সিবিআই। শুধু তা-ই নয়, বহু মূল্যের সেনার গয়নাও ওই আধিকারিকের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

Advertisement

ঘুষ চাওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তদন্তের সূত্রপাত। সেই সূত্র ধরে পঞ্জাবের রোপার রেঞ্জের ডিআইজি হরচরণ সিংহ ভুল্লারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তল্লাশি অভিযানের সময় ওই আইপিএসের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস মিলেছে। সিবিআই জানিয়েছে, স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ফৌজদারি মামলা ‘নিষ্পত্তি’ করে দেওয়ার কথা জানিয়ে ঘুষ দাবি করেছিলেন হরচরণ। সেই সূত্রে ধরা পড়েন ডিআইজি হরচরণ।

পঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিবের ব্যবসায়ী আকাশ বাট্টা দিন কয়েক আগে ঘুষের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, ডিআইজি হরচরণ তাঁকে একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছিলেন। একইসঙ্গে নিস্তার পাওয়ার পথও বাতলে দিয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে আট লক্ষ দাবি করেছিলেন হরচরণ। আর মাসে মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা দিলেই ওই মামলা থেকে রেহাই মিলবে বলে জানিয়েছিলেন ডিআইজি হরচরণ! তবে নিজে সরাসরি ঘুষ দাবি করেননি। কৃষ্ণানু নামে ব্যক্তির মধ্যস্থতায় হয়েছিল সেই ‘চুক্তি’। এমনই দাবি অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর।

Advertisement

কৃষ্ণানু নামে ওই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কৃষ্ণানুকে পাকড়াও করার জন্য ফাঁদ পাতা হয়। আট লক্ষ টাকা দেওয়া হবে এই ‘টোপ’ দিয়ে কৃষ্ণানুকে ডাকা হয় চণ্ডীগড়ের সেক্টর-২১ এলাকায়। টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে কৃষ্ণানুকে ধরেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার পরে হরচরণকে ফাঁদে ফেলার জন্য ওই কৃষ্ণানুকেই কাজে লাগান তাঁরা। তাঁর নম্বর থেকে হরচরণকে ফোন করানো হয়। তখনই ঘুষের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়।

সিবিআইয়ের একটি দল মোহালিতে হরচরণের অফিসে হানা দেয়। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে সিবিআই। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত হরচরণের বাড়ি থেকে পাঁচ কোটি নগদ উদ্ধার হয়েছে। তবে তাঁর কাছে আরও টাকার হদিস মিলেছে। তার পরিমাণ কত, এখনও তা জানা যায়নি। গোনা চলছে। এ ছাড়াও, দেড় কেজি সোনার গয়না, দু’টি বিলাসবহুল গাড়ি, ২২টি দামি ঘড়ি, ৪০ লিটার মদ-সহ আরও অনেক কিছু উদ্ধার করেছে সিবিআই।

২০০৯ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার হরচরণ। ডিআইজি হওয়ার আগে পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ সুপারের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০২৪ সাল থেকে রোপা রেঞ্জের ডিআইজি পদে রয়েছেন হরচরণ। তাঁর বাবাও এক জন পুলিশকর্তা ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement