নীরব কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের গ্রেফতারি এ বার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সদর দফতরে।
ধৃতের নাম রাজেশ জিন্দল। তিনি দিল্লিতে পিএনবি-র সদর দফতরের জেনারেল ম্যানেজার (ক্রেডিট)। ২০০৯ থেকে ২০১১-য় রাজেশ ছিলেন মুম্বইয়ের ব্র্যাডি হাউস শাখার প্রধান। সেই সময়েই নীরব মোদীকে বেআইনি ভাবে ঋণের গ্যারান্টি বা ‘লেটার অব আন্ডারটেকিং’ দেওয়া শুরু হয়। ওই শাখার প্রাক্তন ডেপুটি ম্যানেজার গোকুলনাথ শেট্টিকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে জিন্দলকে হেফাজতে নেওয়া হয়। আজ নীরবের ফায়ারস্টার ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার প্রেসিডেন্ট (ফিনান্স) বিপুল অম্বানী-সহ ধৃত কয়েক জনকে ৫ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত।
সিবিআইয়ের বক্তব্য, নীরবের সঙ্গে বেআইনি কাজকর্ম চালাতে গোকুলনাথ দীর্ঘদিন পদোন্নতি নেননি, বদলিও হননি। যার অর্থ, ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্তারাও এতে জড়িত। জিন্দলকে সেই সূত্র ধরেই জেরা করা হবে। কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসায় কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, যে সব উচ্চপদস্থ অফিসার একই জায়গায় তিন বছর এবং কেরানি পদের যে সব কর্মী একই জায়গায় পাঁচ বছর রয়েছেন তাঁদের বদলি করতে হবে। আজ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্স জানিয়েছে, পিএনবি-র ১৮ হাজার কর্মী বদলি হচ্ছেন। যদিও ব্যাঙ্ক এর সত্যতা স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন: গরিব মরে, কেন ছাড় পায় ধনীরা
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি কাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অডিটরদের দুষেছিলেন। আজ বিজেপিরই নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, ‘‘চিদম্বরমের সময়েই অডিটরেরা সতর্ক করেছিলেন। সেই ফাইল কি জেটলি পড়েন? রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে দোষ দিয়ে কী লাভ? অর্থ মন্ত্রকের ব্যাঙ্ক পরিষেবা সচিব তো রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ডের সদস্য।’’
আরও পড়ুন: নীরব কেলেঙ্কারি: সিবিআই জালে জেনারেল ম্যানেজার
আজও দেশ জুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। নীরব ও তাঁর মামা মেহুল চোক্সীর মোট ১২৬টি ভুয়ো সংস্থার সন্ধান মিলেছে বলে সূত্রের খবর। আয়কর দফতরও নীরবের ১৪১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ১৪৫ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা আটক করেছে। মহারাষ্ট্রের আলিবাগে নীরবের দেড় একরের ফার্ম হাউস বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।
নীরবের আইনজীবী বিজয় অগ্রবাল অবশ্য আজও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘কোনও মামলাই দাঁড়াবে না।’’ তাঁর বক্তব্য, নীরব ব্যবসার কাজে বিদেশে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে তাঁর পাসপোর্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। সমন পেয়ে তিনি নিজে হাজির হতে পারেন, কোনও প্রতিনিধিকেও পাঠাতে পারেন। সিবিআই চার্জশিট দিক। তখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।